-->

শীর্ষ মাদক কারবারিদের তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
শীর্ষ মাদক কারবারিদের তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট

দেশের শীর্ষ মাদক কারবারিদের তথা ড্রাগ ডিলারদের নাম-ঠিকানাসহ তালিকা এক মাসের মধ্যে দাখিল করতে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

 

একইসঙ্গে মাদক কারবারির মাধ্যমে অর্থ পাচার সংক্রান্ত অভিযোগ দুই মাসের মধ্যে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ ফাইন্যানসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতি এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

 

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রোববার এ নির্দেশ দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দি দাসের করা এক রিট আবেদনে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ‘মাদক ব্যবসার কারণে বছরে পাচার ৫ হাজার কোটি টাকা’ শিরোনামে গত ১১ জুন দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে এ আবেদন করা হয়। এই রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদেশ দেয়া হয়েছে।

 

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ থেকে মাদকের কারণে প্রতিবছর পাচার হয়ে যায় ৪৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ৫ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। আর মাদক কেনাবেচা করে অর্থ পাচারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে পঞ্চম। এশিয়ার দেশগুলো বিবেচনায় নিলে মাদকের মাধ্যমে টাকা পাচারের ঘটনায় বাংলাদেশ একেবারে শীর্ষে রয়েছে। অবশ্য পাচার করা টাকার হিসাব অনুমানভিত্তিক, এটি করেছে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাড।

 

বৃহস্পতিবার আঙ্কটাড (ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) তাদের ওয়েবসাইটে অবৈধ অর্থপ্রবাহ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের নয়টি দেশের মাদকসংশ্লিষ্ট অবৈধ অর্থপ্রবাহের অনুমানভিত্তিক হিসাব তুলে ধরেছে সংস্থাটি।

 

অন্য দেশগুলো হলো আফগানিস্তান, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, মালদ্বীপ, মেক্সিকো, মিয়ানমার, নেপাল ও পেরু। আঙ্কটাডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাদকের অবৈধ অর্থপ্রবাহের দিক থেকে বিশ্বে প্রথম অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। এরপর যথাক্রমে রয়েছে কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, পেরু ও বাংলাদেশ। মাদক এবং অপরাধ প্রতিরোধে কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনওডিসির সহায়তায় এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাদকের মাধ্যমে অবৈধ অর্থপ্রবাহের অনুমানভিত্তিক এই হিসাব করেছে আঙ্কটাড।

 

মূলত ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে মাদকের মাধ্যমে অবৈধ অর্থপ্রবাহের এই চিত্র প্রথমবারের মতো তুলে ধরেছে আঙ্কটাড।

 

আঙ্কটাডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়াবা, হেরোইনসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক বাংলাদেশে ঢুকছে। আর মাদক কেনার অর্থ বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এশিয়ার যে পাঁচটি দেশের মাদকসংশ্লিষ্ট অবৈধ অর্থপ্রবাহের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, এর মধ্যে বাংলাদেশ, মালদ্বীপ ও নেপাল থেকে অর্থ পাচার বেশি হয়।

 

অন্যদিকে বিভিন্ন দেশে মাদক বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করছেন আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের মাদক ব্যবসায়ীরা।’

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version