সাবেক প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, দলের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে তদন্ত সংস্থার প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনুসহ ১৪ জনকে কারাবন্দি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে শেখ হাসিনা কোথায় এবং তাকে গ্রেপ্তারের অগ্রগতি জানতে চাইলেন ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৭ ডিসেম্বর শেখ হাসিনাসহ অপরাপর আসামিদের গ্রেপ্তারের অগ্রগতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গতকাল সোমবার এ আদেশ দিয়েছেন। দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। প্রসিকিউশন টিমের পৃথক দুটি আবেদনে এ আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই প্রথম গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ৭ মন্ত্রী, মন্ত্রী পদমর্যাদার দুই উপদেষ্টা, দুই প্রতিমন্ত্রী, একজন সাবেক বিচারপতি ও একজন সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিবকে সশরীরে হাজির করা হলো। গতকাল সোমবার যাদের হাজির করা হয় তারা হলেন- আনিসুল হক, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, সালমান এফ রহমান, ড. দীপু মনি, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, শাজাহান খান, গোলাম দস্তগীর গাজী, কামাল আহমেদ মজুমদার, জুনাইদ আহ্মেদ পলক, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।’ সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার একটি মামলায় আটক থাকায় গতকাল তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি। তবে ড. আব্দুর রাজ্জাকসহ ওই ১৪ জনকে আগামী ১৭ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সকাল ১১টায় তিন বিচারক ট্রাইব্যুনালের এজলাসে বসার পর চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করার মধ্য দিয়ে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী এইচ তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদসহ অপরাপর প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন। আর আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী, আজিজুর রহমান দুলু, মো. আবুল হাসানসহ ২০-২৫ জন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল শুনানির শুরুতেই চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এখানে আসামিপক্ষে সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী আছেন। কিন্তু রাষ্ট্র তাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ দায়িত্ব দিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তাই তার আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে শুনানি না করাই ভালো বলে মনে করি।
জবাবে এহসানুল হক সমাজী বলেন, এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কিছু জানি না। তারপরও চিফ প্রসিকিউটর যেহেতু একটা কথা বলেছেন তাই বিতর্কে জড়ানো ঠিক হবে না। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কিছু জানার পর সেটা আমার জন্য সম্মানজনক হবে কিনা তা দেখার পর সিদ্ধান্ত নিবো।
এরপর চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সংক্ষিপ্ত আকারে অভিযোগ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শুধুই জুলাই-আগস্ট গণহত্যা নয়, গত ১৬ বছরে শেখ হাসিনা ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে জঘন্যতম অপরাধ করেছেন। গুম, খুন, নির্যাতন, দেশান্তরসহ নানাবিধ ঘৃণ্য অপরাধ করেছেন। আয়না ঘরের মতো চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজ করেছেন। আর এখানে যে আসামিরা আছেন তাদের সহযোগিতায় শেখ হাসিনা একচ্ছত্র ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতেই বর্বরতা চালিয়েছেন। চিফ প্রতিকিউটর পর্যায়ক্রমে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি সংঘঠিত বিডিআর হত্যাকাণ্ড, ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড, বিভিন্ন বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জুলাই-আগস্টের দুইশ শিশুসহ দেড় হাজার ব্যক্তিকে হত্যাসহ গণহত্যার ফিরিস্তি তুলে ধরেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এসব অপরাধের সুপিরিয়র রেসপন্সবিলিটি হিসেবে শেখ হাসিনা দায়ী। তিনি সাবেক একাধিক মন্ত্রীসহ বিভিন্ন ব্যক্তির ভূমিকার বর্ননা দেন। তিনি বলেন, হেলিকপ্টর থেকেও গুলি ও বোমা বর্ষণ করা হয়। তিনি বলেন, কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। আন্দোলনের সময় শতাধিক শিশু নিহত হয়েছে। অনেক শিশু ঘরের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে। নিহত ছাত্রদের লাশে আগুন দেওয়া হয়েছে। লাশ মাটি চাঁপা দেওয়া হয়েছে। অনেক লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়। এটা বিশ্বের ইতিহাসে একটি ঘৃণ্য ও জঘন্য হত্যাকাণ্ড। আন্দোলনে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা আহত হন। তাদের চিকিৎসা দিতে বাধা দেওয়া হয়। অনেকে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেন। রাস্তায় রাস্তায় আহত রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে বাধা দেওয়া হয়। এমনকি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
সাভারে এমআইএসটির শিক্ষার্থী শাইখ আসহাবুল আসহাবুল ইয়ামিনকে হত্যার ঘটনা তুলে ধরেন। তিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে পুলিশের সাঁজোয়া যান থেকে গুলিবিদ্ধ ইয়ামিনের নিথর দেহ টেনে নিচে ফেলার ঘটনা বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, গাড়ি টান দেওয়ার সময় চাকার নিচে পড়বে বলে দেহটি টেনে দূরে সরানো হয়। তখনও সেই দেহটি নড়তে দেখা যায়। এমন একটি লোমহর্ষক ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়ে নেট দুনিয়ায়।
তাজুল ইসলাম বলেন, ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনের উসকানিমূলক বক্তব্য রাখেন। কয়েকজন সাংবাদিকও উসকানী দেন। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলা হয়। ইস্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়ে গণহ্যার তথ্য আড়াল করা হয়, সঠিক তথ্য জানতে বাধা দেওয়া হয়।
এক পর্যায়ে আদালত তার কাছে জানতে চান, বিডিআর ও শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডের বিচার কি এই ট্রাইব্যুনালে হবে? জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, এখনও এবিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে শেখ হাসিনসার অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনার জন্য বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই দেশের প্রতিটি আনাচেকানাচে আলামত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তদন্ত সংস্থা আমাদের জানিয়েছে অপরাধের বিবেচনায় তদন্ত সম্পন্ন করতে দুই মাস সময় প্রয়োজন।
এ সময় আদালত শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানতে চান। আদালত বলেন, তাকে গ্রেপ্তারের কি হলো। জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। কিন্তু আমরা যতদূর জানতে পেরেছি, শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে গেছেন। তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। তাকে ফেরাতে বিষয়টি ইন্টারপোলে পাঠানো হয়েছে। ভারতের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তির মাধ্যমে সরকার তাকে ফেরানোর চেষ্টা করছে।
এরপর আদালত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন করতে একমাস সময় দিয়ে আদেশ দেন। আগামী ১৭ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর চিফ প্রসিকিউটর আনিসুল হকসহ আদালতে উপস্থিত ১৩জন এবং ওবায়দুল কাদের, সজিব ওয়াজেদ জয়, অধ্যাপক জাফর ইকবালসহ মোট ৪৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরেন। এ সময় আদালত তার কাছে জানতে চান, তাদের বিরুদ্ধেও কি সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটির দায়? নাকি প্রত্যেকে একক অপরাধে সম্পৃক্ত? জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, তারা উভয়ক্ষেত্রে অভিযুক্ত। এই ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন করতে তদন্ত সংস্থার দুই মাস সময় প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে আবেদন জানান। এরপর ফারুক খান ও ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলু শুনানি করেন। তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কপির জন্য আবেদন জানান। সেজন্য তিনি সময় চান। এ সময় চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এজন্য সময়ের দরকার নেই। আসামিপক্ষ আবেদন করলে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে প্রসিকিউশন পক্ষ প্রয়োজনীয় সব সরবরাহ করবে। এরপর আজিজুর রহমান দুলু আসামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ চান।
এরপর চিফ প্রসিকিউটর আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আসামিপক্ষে আরও আইনজীবী ও তাদের আত্মীয়রা দেখা ও কথা বলতে চান। তাই ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের তত্ত্বাবধানে এটা করা যেতে পারে। সেখানে প্রসিকিউশন টিমে সদস্যরাও থাকবেন। যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়। আদালত এ আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালত ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ, পুলিশ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, বিপ্লব বড়ুয়াসহ এই ৪৫ জনের বিষয়েও শেখ হাসিনার আদেশের মতো আদেশ দেন। এরপর বেলা ১২টা ৮ মিনিটে বিচারকরা এজলাস থেকে নেমে যান। এরপর আদালত কক্ষ থেকে সাংবাদিকসহ অন্যরা বেরিয়ে যান। এরপর আইনজীবীরা আসামিদের সঙ্গে কথা বলেন। বেলা দেড়টা পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে নেওয়া হয়।
এর আগে গতকাল সকালে কারাগার থেকে ১৩ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাদের ট্রাইব্যুনালের অস্থায়ী গারদখানায় রাখা হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে তাদের আদালত কক্ষের আসামির কাঠগড়ায় নেওয়া হয়। একমাত্র দীপু মনি ছাড়া বাকি ১২ জনকে কাঠগড়ার মধ্যে রাখা হয়। কাঠ ও কাচের তৈরি কাঠগড়ায় রাখা ১২টি চেয়ারে বসেন তারা। প্রথম সারিতে ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, আনিসুল হক, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, রাশেদ খান মেনন, কামাল আহমেদ মজুমদার ও শাজাহান খান এবং পেছনের সারিতে হাসানুল হক ইনু, গোলাম দস্তগীর গাজী, সালমান এফ রহমান, বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, মো. জাহাঙ্গীর আলম ও জুনাইদ আহ্মেদ পলক বসেন। এরপর এহসানল হক সমাজী ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনিরসহ কয়েকজন আইনজীবী আনিসুল হকের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। সালমান এফ রহমান পেছনের সারি থেকে এগিয়ে এসে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে আনিসুল হক ও ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী কাঠগড়ার বাইরে বসা দীপু মনির সঙ্গে খোসগল্প শুরু করেন। এসময় তাদের হাসতে দেখা যায়। তবে আদালত কার্যক্রম শুরু হলে কামাল আহমেদ মজুমদার দুইবার দাঁড়িয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন। তবে প্রতিবারই পুলিশ তাকে বসিয়ে দেয়।
একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধেও সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। এই ট্রাইব্যুনালের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালের ২৫ মার্চ। পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটিকে একীভূত করে আবার একটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়। ওই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি করায় এবং অপর এক সদস্যকে হাইকোর্টে ফিরিয়ে নেয়ায় বিচার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এমন অবস্থায় গত ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পরেই তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্য অব্যাহতি নেন। এমন অবস্থায় গত ১৪ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে সরকার। ১৫ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে যোগ দেন তিন সদস্যের বিচারক প্যানেল।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য