-->

ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ভোরের আকাশ প্রতিবেদক
ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা ও ব্যবসায়িক লেনদেনে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগের এক মামলায় ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রাজাসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। অন্য আসামিরা হলেন- ইউনাইটেড হাসপাতালের এফসিএ মোস্তাক আহমেদ, সাব্বির আহমেদ ও কোম্পানি সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান। গতকাল মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. মাহবুবুল হক পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এ পরোয়ানা জারি করে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৪ জানুয়ারি দিন ঠিক করেন। এর আগে মামলাটির তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়ে পিবিআই আদালতে প্রতিবেদন দেয়। পরে বাদীপক্ষের আইনজীবী খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।

মামলার এজাহারে থেকে জানা যায়, ফরিদুর রহমান খান দীর্ঘ ১৫ বছর ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২০ সালের মে মাসে আসামিরা ফরিদুর রহমানকে জোরপূর্বক তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেন। এরপর প্রতিষ্ঠানটিতে ফরিদুর রহমানের থাকা ১ লাখ ২০ হাজার ১৬৫টি শেয়ার এজাহারভুক্ত আসামিরা দখল করেন। প্রতিটি শেয়ারের জন্য ১ হাজার টাকা হিসেবে মোট ১২ কোটি ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও আসামিরা কোনো টাকা দেননি। এরপর থেকে ফরিদুর রহমান খানের শেয়ারের পাওনার বিপরীতে লভ্যাংশ না দিয়ে প্রায় এক কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এছাড়া ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ফরিদুর রহমান খানকে না জানিয়ে তাকে হাসপাতালের পরিচালক পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়। এসব ঘটনায় গত ২৮ অগাস্ট হাসপাতালের সাবেক ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফরিদুর রহমান খান ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রাজাসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

 

ভোরের আকাশ/রন

মন্তব্য

Beta version