-->
শিরোনাম

হালকা গয়নায় পুরো সাজ

ইসমত জেরিন স্মিতা
হালকা গয়নায় পুরো সাজ
আজকাল সবার পছন্দের তালিকায় রয়েছে রেজিনের গয়না

জানেন তো মেয়েদের সাজের অনুষঙ্গ কত! তা বলে শেষ করা যায় না। তবে এত এত গয়নাগাটির ঝক্কি পছন্দ না কিন্তু কিছু ফেলে দিতেও তো মন চায় না। তাহলে কিভাবে নির্ধারণ করবেন কোনটি আপনার প্রয়োজনে দরকার। এত ঝামেলার কি দরকার, চলুন জেনে নেব হালকা গয়না কিভাবে সাজলে হয়ে উঠবেন সম্পূর্ণা।

চোকার পরে সহজেই আনতে পারেন দৃষ্টিনন্দন রূপ। ভারি মালা বা বড় লকেটের চেয়ে চোকার অনেক সময় বেশি আকর্ষণীয় দেখায়। চোকারে লকেট হিসেবে পছন্দের কোনো চার্ম নিজেই জুড়ে দিতে পারেন। সরু সুতার মধ্যে মাঝারি বা ছোট্ট একটা পাথর, গলায় মন্দ লাগে না। কালো সুতার চোকারের সাথে হালকা বা গাঢ় যেকোনো রঙের পাথর মানিয়ে যায়, তেমন কোনো পাথরই বসিয়ে নিতে পারেন চোকারে।

আজকাল রেজিনের গয়নার ট্রেন্ড ভীষণ পছন্দের। রেজিনের লকেট মানাবে কর্ড বা পুঁতির মালার সাথেও। আর রেজিনের কাজগুলো এত নজরকাড়া হয়, একটা নেকপিসেই সাজ পরিপূর্ণ লাগবে। পমপমের হালকা নেকপিসে রং ঝলমলে ভাব ফুটে উঠবে। দিনের বেলা ঘুরতে যাওয়া বা আড্ডাবাজির উপলক্ষে এগুলো হতে পারে সাজের যথার্থ অনুষঙ্গ। ছোট এক জোড়া ঝুমকা কানের লতিতে ঝুলবে, গলার হালকা গয়নার সাথে বেশ ছিমছাম ভাব আসে তাতে। অনেক রঙের পুঁতির কাজকরা দুল, ঝুমকা, শাড়ি কিংবা কামিজের সাথে মানিয়ে যায় সহজেই।

পমপমের রেশমি ঝোলা দুলগুলোও দারুণ কাজের হালকা গয়না হিসেবে। পমপমের কানের দুলে রঙের বাহারি ভাব সাজের সাথে মিশে যায় সহজেই। খুবই হালকা গয়না, অথচ জাঁকজমকপূর্ণ দেখাতে পারে। তাই নিত্য ব্যবহারে পমপমকে রাখুন পছন্দের তালিকায়।রজিনের আংটি, কিংবা কাঠের উপর রঙের ছোঁয়ায় আঁকা আংটি, আঙ্গুলের কোলে দারুণ দেখাবে যেকোনো সাজের সাথে। ঝকমক করা পাথর বা চিরায়ত সোনালি আর রূপালির নিয়ম বাদে এই আংটিগুলো নিত্যদিনের সাজে সঙ্গী হতে পারে। কাঠের চওড়া বালায় কব্জির সাজ হয়ে যেতে পারে। ধাতব বালা হালকা হয় না মোটেও। কয়েক রঙা চিকন চুড়িও চলতে পারে পোশাকের সাথে মিলিয়ে।

আবার পোশাকে কয়েক রঙ থাকলে তার থেকে হালকা বা গাঢ় কোনো একটা রঙ বেছে নিয়ে এক রঙা চুড়িতে ম্যাচ করে নিতে পারেন। নাকের ডগায় একটা চোখে পড়ার মতো নাকফুলই বসিয়ে নিন স্রেফ। তাতেই অনেকটা সাজুগুজু সম্পন্ন হচ্ছে আপনার। রুপার নোলক, কিংবা স্বর্ণেরই, বা পাথরের চিকচিক করা বিন্দুসম একটা কিছু। সাজে ভিন্ন মাত্রাও যেমন আসবে, তেমন সাজের আকর্ষণও কেন্দ্রীভূত হয়ে থাকবে ওই নাকফুলে।

অন্য এক্সেসরিজের আর দরকার নেই। আজকাল কেশবিন্যাসে অনুষঙ্গ ব্যবহার করা বলতে গেলে হয়ই না। কখনো শাড়ির সাথে হয়তো কিছু আটকানো হয় খোঁপায়। কিংবা জাঁকজমকপূর্ণ কোনো অনুষ্ঠানে চুলের সাজে বাড়তি নজর দেয়া হয়। অথচ সামান্য কাঁটা বা ফ্লোরাল হেয়ারব্যান্ডের ব্যবহার নিত্যের সাজকেই চমৎকার করে তুলতে পারে।

সবশেষে এটিই বলব, আপনি যে অনুষঙ্গই ব্যবহার করুন তা ক্যারি করার যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস থাকা চাই। তাহলে যেভাবেই নিজেকে সাজান হয়ে উঠবেন আকর্ষণীয়।

মন্তব্য

Beta version