-->

দেহের প্রয়োজনীয় উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট

ট্রেন্ড ডেস্ক
দেহের প্রয়োজনীয় উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট

শরীরকে তো রোগমুক্ত রাখতে কতকিছুই করছেন। কিন্তু জানেন কি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার শরীরের জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ। শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর বিভিন্ন খাবারের মাধ্যমে এই যোগটি শরীরে উৎপাদিত হয়।

আমাদের শরীরের কোষগুলোকে ফ্রি র‌্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর এটি শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘস্থায়ী অক্সিডেটিভ স্ট্রেস আমাদের হৃদরোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং ক্যানসারের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এ কারণে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি কমাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।

জানুন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ৫ স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে১. কালো চকোলেট শুনতে অবাক লাগলেও এটি সত্য যে, ডার্ক চকোলেটে বিভিন্ন উপকারী খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। আর এটি আপনার শরীরের প্রদাহ কমাতে ও হৃদরোগের ঝুঁঁকি কমাতে সহায়তা করতে পারে।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ডার্ক চকোলেট রক্তের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়িয়ে, ‘ভালো’ এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি এবং ‘খারাপ’ এলডিএল কোলেস্টেরলকে অক্সিডাইজ হওয়া থেকে রোধ করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।২. পালং শাক সবচেয়ে পুষ্টিকর শাকের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে পালং শাক। এতে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ড ভরপুর থাকে।

এ ছাড়া পালং শাক লুটিন এবং জেক্সানথিনের একটি দুর্দান্ত উৎস, দুটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ক্ষতিকারক ইউভি আলো এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য থেকে আপনার চোখকে রক্ষা করতে সহায়তা করতে পারে।

৩. বিটরুট বিটরুট হচ্ছে ফাইবার, পটাসিয়াম, আয়রন, ফোলেট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অনেক ভালো এটি উৎস। বিশেষ করে বেটালাইন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি গ্রুপে সমৃদ্ধ যার অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা রয়েছে। বেশ কয়েকটি টেস্ট-টিউব গবেষণায় দেখা গেছে, কোলন ও পাচনতন্ত্রের ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে বিটরুট।

৪. বেরি জাতীয় ফল বিভিন্ন বেরিজাতীয় ফল যেমন, ব্লুবেরী, স্ট্রবেরি ইত্যাদি আমাদের দেশে কিছুটা কম পাওয়া গেলেও এ ধরনের ফলগুলো কিন্তু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অনেক ভালো উৎস। এসব ফলে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে, এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।

৫. লাল বাঁধাকপি পুষ্টিগুণের কারণে লাল বাঁধাকপি অনেক সুপরিচিত। এতে ভিটামিন-সি, কে, এ এবং উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।

আর লাল বাঁধাকপিতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের প্রদাহ কমাতে, হৃদরোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে এবং কিছু ক্যানসারের ঝুঁঁকি কমাতে সহায়তা করতে পারে।তথ্যসূত্র: হেলথলাইন ডটকম

মন্তব্য

Beta version