মনের আবার যত্ন- এ কেমন কথা? হ্যাঁ, শরীরকে ভালো রাখতে যেমন যত্ন প্রয়োজন, তেমনি মনকে ভালো রাখতেও চাই নিয়মিত যত্ন। মনকে অবহেলা করে কখনো পরিপূর্ণভাবে ভালো থাকা সম্ভব নয়। তাই নিন মনের যত্ন।বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে সংবাদমাধ্যম হাফিংটন পোস্ট ও উইকিহাউ জানিয়েছে মনের যত্বের কিছু উপায়ের কথা।
১. দুশ্চিন্তার জন্য সময় রাখুন
প্রথমেই এমন একটি কথা পড়ে আশ্চর্য হচ্ছেন? আরে ভাই, দুশ্চিন্তা হবে এটাই তো স্বাভাবিক! তাই এর জন্যও সময় রাখা চাই। দুশ্চিন্তাকে সময় না দিলে এটি আপনাকে দিনভর গ্রাস করতে থাকবে। তাই সময় দিন। তবে ২০ থেকে ৩০ মিনিটের বেশি নয়। এরপর থামুন।
এবার চিন্তা করুন কীভাবে এর থেকে বেরিয়ে আসবেন। ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে ভাবুন। প্রয়োজনে খাতা-কলম নিয়ে বসুন ইতিবাচক দিকগুলো লিখতে। আর সাফল্য পেতে আপনাকে আরো কী কী করতে হবে তারও একটি তালিকা তৈরি করে ফেলুন। দেখবেন ভালো লাগবে। প্রতিদিন ইতিবাচক বিষয়গুলো নিয়ে ভাবুন। নিয়মিত সেই লক্ষ্যে কাজ করুন।
২. ধ্যান
মনের যত্ন ধ্যান বা মেডিটেশন করার বিষয়টি হাজার বছর ধরে চলে আসছে। এটি মনকে ভালো রাখা ও নিয়ন্ত্রণে রাখার একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। এটি উদ্বেগ ও বিষণ্নতা কমায়। ইতিবাচক চিন্তা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে ধ্যান করুন।
৩. যেতে দিন বা ছেড়ে দিন
যেটি আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে, সেটি নিয়ে চিন্তা করবেন না। যেতে দিন। এটা হতে পারে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বা আপনার দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে। যদিও এই ‘যেতে দেওয়া বা ছেড়ে দেওয়া’ বিষয়টি কঠিন। তবে নিয়মিত এর চর্চা করলে দেখবেন আপনিও পারছেন। আপনারও হালকা লাগছে। মঙ্গলাকাক্সক্ষী হোন। ক্ষমা করুন।
৪. পড়ুন, পড়ুন, আরো পড়ুন
পড়া মনকে সজীব করতে কাজ করে। ইতিবাচক বই বা ইতিবাচক বাণী পড়ুন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়ুন। দেখুন, বড় বড় মানুষ কীভাবে জীবনে নিজেদের চাপ সামলেছেন। একটি ভালো বই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনে সাহায্য করে; ক্ষুদ্র ও সংকীর্ণ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে কাজ করে।
৫. ব্যায়াম করুন
মন ভালো রাখতে ব্যায়াম করতে পারেন, করতে পারেন কিছু যোগব্যায়ামও। গবেষণায় বলা হয়, নিয়মিত হাঁটা মানসিক চাপকে কমাতে সাহায্য করে। এতে মন ভালো থাকে।
৬. ইতিবাচক চিন্তা করুন
আমাদের চিন্তার অধিকাংশটাই জুড়ে থাকে নেতিবাচক চিন্তা আর দুশ্চিন্তা। তাই ভালো ভাবনাগুলোকে আমরা কাজে লাগাতে পারি না। ভালো ভাবনাকে কাজে লাগান। ইতিবাচক চিন্তা করুন। ইতিবাচক চিন্তা মানে নিজেকে সাহায্য করা। নিজেকে নিজে সাহায্য করলে দেখবেন প্রকৃতিরও সাহায্য পাচ্ছেন।
৭. ‘আমি পারব’
নিজেকে বলুন আমি পারব, ভালো হবে, হচ্ছে।
৮. স্বপ্ন দেখুন
মানুষ বাঁচে আশা বা স্বপ্নের মধ্য দিয়ে। নিজেকে ভালোবাসুন। ভালোবাসুন অন্যকেও।
৯. পছন্দের কাজ করুন
বেড়াতে যাওয়া, গান শোনা, গান গাওয়া, বই পড়া, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, রান্না করা, লং ড্রাইভে যাওয়া, সিনেমা দেখা- প্রিয় কাজগুলো করুন। এগুলো মনের খোরাক জোগাতে কাজ করবে। মনকে ভালো রাখবে।
মন্তব্য