-->
শিরোনাম

চুলের ম্যাজিক খাবার

ইসমত জেরিন স্মিতা
চুলের ম্যাজিক খাবার

প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবন ও পরিবেশ দূষণ সবার আগে কেড়ে নিচ্ছে চুলের সৌন্দর্য। ঘন ও কালো চুল পাওয়া যেন রীতিমতো ভাগ্যের ব্যাপার এখন। মাথায় ঘন একরাশ কালো চুল কার না স্বপ্ন বলুন তো! কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে ততই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে মাথার সামনের অংশ। অনেক ট্রিটমেন্ট মেনেও কোনো কিছুতেই ফল পাচ্ছেন না।

খতিয়ে দেখলে দেখবেন ঘাটতি রয়েছে আপনার খাদ্যতালিকায়। সঠিক খাওয়া-দাওয়া কিন্তু আপনার চুল পড়ার সমস্যা কমিয়ে দিতে পারে। সেই সঙ্গে নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। চুল পড়া কমিয়ে মাথায় নতুন চুল গজানোর জন্য খান এইসব খাবার।

বাদাম:  আমন্ড, আখরোট, কুমড়োর বীজ, নারিকেল এবং চিনাবাদাম চুলের জন্য বিশেষ উপকারী খাদ্য। কারণ এদের প্রতিটিই ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী সন্ধের দিকে বাদাম খাওয়া উচিত। কারণ ওই সময়ই শরীরের ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে তোলার স্বাভাবিক প্রক্রিয়াটি শুরু হয়।

মসলা: প্রতিটি ভারতীয় গৃহস্থবাড়িতেই হলুদ, গোলমরিচ, কারিপাতা, সরিষার মতো সাধারণ কিছু মসলাপাতি মজুত থাকে। চুলে শক্তি পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই সব মসলা বিশেষ কার্যকর। রান্না নামিয়ে ফেলার আগে তাতে কিছু কারিপাতা দিয়ে দিন। তাতে পাতার তরতাজা ভাব বজায় থাকবে, রান্নাতে আলাদা স্বাদ আসবে আর আপনার তরিতরকারি ও সবজির পুষ্টিগুণও অনেকটা বেড়ে যাবে।

 

 

সবুজ শাকসবজি :  ঝলমলে সুন্দর ত্বক আর চুল চাইলে সবুজ শাকসবজিকে খাদ্যতালিকায় রাখতেই হবে। সবুজ শাকসবজিতে পর্যাপ্ত আয়রন, ভিটামিন এ এবং সি থাকে, যা শরীরে এনার্জির জোগান দেয় এবং স্বাস্থ্যরক্ষার জন্যও খুবই প্রয়োজন। আয়রন চুলের ফলিকলে অক্সিজেন পৌঁছে দেয় এবং ভিটামিনের অ্যান্টি-অক্সিডান্ট দ্রুত চুলের ক্ষয়ক্ষতি মেরামত করে। ফলে চুল ভঙ্গুর ও দুর্বল হয়ে যেতে পারে না।

আমলকী:  প্রাচীনকাল থেকে আমলকীকে চুলের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আমলকীতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি চুলের পরিচর্যায় বিশেষ উপকারী। আমলকীর কষ ভাবের জন্য কাঁচা খেতে প্রথম প্রথম অসুবিধা হতে পারে। তবে প্রথমে অল্প করে শুরু করে আস্তে আস্তে সপ্তাহে যদি অন্তত ৫টি গোটা আমলকী কাঁচা খাওয়া অভ্যেস করতে পারেন, তা হলে খুবই ভালো।

সামুদ্রিক মাছ :  ডারমেটোলজিস্টরা বলেন, সামুদ্রিক মাছে থাকে অতিরিক্ত পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা চুল পড়া রোধ করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। তাই সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন করে সার্ডিন বা টুনা ফিশ খাওয়া অভ্যেস করুন। যে কোনো সামুদ্রিক মাছ সপ্তাহে একদিন পাতে রাখার ব্যবস্থা করুন।

ডিম:  মাথায় ডিম মাখার পাশাপাশি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন ডিম সেদ্ধ। ডিমের মধ্যে থাকা প্রোটিন চুলের পুষ্টি জোগাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা না থাকলে প্রতিদিন ব্রেকফাস্টে একটা করে ডিম খান।

গাজর : ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ গাজর চুলের বৃদ্ধিতে দারুণ সাহায্য করে। ভিটামিন-এ মাথার স্ক্যাল্পে সিবাম (Sebum) নামে এক প্রকার তৈলাক্ত রাসায়নিক তৈরি করতে সাহায্য করে। এটি মাথার স্ক্যাল্পের রুক্ষতা দূর কওে চুলের গোড়া পোক্ত করতে সাহায্য করে।

তাই গাজর স্লাইস করে কেটেও সালাদ হিসেবে খেতে পারেন। আবার মিক্সড সবজি তরকারি বানানোর সময় গাজর ব্যবহার করতে পারেন। সেই সঙ্গে ভেজিটেবল স্টুতেও গাজর ব্যবহার করুন।

মন্তব্য

Beta version