ত্বকে রুক্ষতার সমস্যা যে শুধু শীতকালেই দেখা দেয়, তা কিন্তু নয়। বরং গরম শুরু হলেও চামড়া ওঠা কিংবা গোসলের শেষে ত্বকে প্রচণ্ড টান ধরার সমস্যা এখনো রয়েছে। আর সেইসঙ্গে হাতের তালু শুকিয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা তো আছেই। এটি ত্বকের জন্য আরো অনেক সমস্যা ডেকে আনে। শীতের সময়ে রুক্ষ ত্বকের যত্ন তো জানেন, কিন্তু গরমের সময়ে কী করবেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, গরমের তাপমাত্রা, পানির উষ্ণতা এবং আবহাওয়ার পরিবর্তন ত্বকের সমস্যা বাড়ানোর জন্য দায়ী। অনেকে গোসলের সময় যে সাবান ব্যবহার করেন তাতে থাকা ক্ষারও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এ সময় ত্বকের ভেতর ও বাইরে থেকে যত্ন নেওয়া খুব জরুরি। জেনে নিন এই গরমে ত্বকের রুক্ষতা দূর করার উপায়-
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার
শীত চলে গেছে বলে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা বন্ধ করবেন না। গরমেও দিনে অন্তত তিনবার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। সেই ময়েশ্চারাইজার যেন নন স্টিকি হয়, এতে ঘেমে যাওয়ার ভয় থাকবে না। ত্বক আরাম পায় এমন কোনো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
শিয়া বাটার অথবা কোকো বাটার
ত্বকের যত্নে যে ক্রিম ব্যবহার করুন না কেন, তাতে যেন শিয়া বাটার অথবা কোকো বাটার যুক্ত থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। শিয়া বাটারের উপকারী বৈশিষ্ট্য ত্বকের কোমল ভাব বজায় রাখতে কাজ করে। সেইসঙ্গে ধরে রাখে ত্বকের আর্দ্রতা। এটি ত্বকে টান ধরার সমস্যা কমায়।
নন ফোমিং ক্লিনজার
মুখ ধোওয়ার জন্য যে ফেস ওয়াশ ব্যবহার করছেন, তাতে যেন ফোমিং কিছু না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সবচেয়ে ভালো হয় ওয়াটার বেস বা জেল জাতীয় কিছু ব্যবহার করতে পারলে। এতে মুখের ত্বকে টান ধরবে কম। গরমে ফোমিং ক্লিনজার ব্যবহার না করাই ভালো।
সানস্ক্রিন ব্যবহার
প্রতিদিন নিয়ম করে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। ক্রিম হোক কিংবা লোশন, সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি। যাদের ত্বক বেশি রুক্ষ তারা দুই-তিন ঘণ্টা পরপর ভালোভাবে মুখ ধুয়ে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নেবেন। এতে ত্বকের রুক্ষভাব কমে আসবে দ্রুতই।
অ্যালোভেরা জেল
গরমে ত্বক ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা জেল। তবে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারে আপনার অ্যালার্জির সমস্যা হয় কি না তা আগে দেখে নেবেন। এছাড়াও বাড়ি ফিরে ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নেবেন। এতে ত্বকের প্রদাহ দূর হয়। রাতে মুখে এক টুকরো বরফ কিংবা শসাও ঘষতে পারেন।
মন্তব্য