-->
শিরোনাম

গরমে রোদ চশমা

ইসমত জেরিন স্মিতা
গরমে রোদ চশমা

চোখের সুস্থতা ধরে রাখতে এই গরমে চাই সানগ্লাস বা রোদ চশমা। আর সেটা ফ্যাশনের হলে তো দারুণ। সানগ্লাস দিয়েই ফুটিয়ে তোলা যায় নিজের রুচি। পাশাপাশি পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে নানা ডিজাইনের চশমা সংগ্রহও অনেকের শখ। চোখে চশমা দিলেই বদলে যায় চেহারাটা।

মুখের গড়ন, চুলের কাটিং ও পোশাক বুঝে চশমা ব্যবহার করতে হয়। কোন ধরনের মুখে কেমন চশমা ব্যবহার করবেন, তা নিয়ে বিউটি এক্সপার্ট কানিজ আলমাস বলেন, ‘গোলাকার মুখের জন্য পুরু, চতুর্ভুজ আকৃতির বা কোণাযুক্ত ফ্রেমই মানানসই। ফ্রেমটা এমন হবে যেন কপাল, চিবুক ও গলাটা নজরে আসে। মুখের গড়ন ডিম্বাকৃতির হলে যেকোনো ধরনের চশমার ফ্রেম ব্যবহার করতে পারেন।

আয়াতকার মুখে কোণাযুক্ত, জ্যামিতিক বা উপরের দিকে চ্যাপ্টা ফ্রেম ভালো লাগবে। পানপাতা মুখ যাদের, তাদের তো চওড়া কপাল, মুখ, চিবুক সরু, তারা অবশ্যই পাতলা রিম ব্যবহার করবেন।’ খেয়াল রাখবেন, ফ্রেমটা যেন মুখের অনেক উপরে বসে না থাকে। অন্য বিউটি এক্সপার্ট রাহিমা রীতা বলেন, ‘হেয়ার স্টাইলের সঙ্গে মিল রেখেও চশমা বাছাই করা যায়। চুল যদি একদম লম্বা হয়, তাহলে স্কার্ফ ব্যবহার করা ভালো। এতে ডিফারেন্ট লুক আসবে। চুল যদি কোঁকড়া হয়, তাহলে ফ্রেমের মাপ ভ্রু লাইন বরাবর রাখুন। স্ট্রেইট চুলে রাইন্ডটা ভালো।

মুখের গড়ন, চুলের কাটিং ও পোশাকের রং বুঝে ব্যবহার করতে পারেন আপনার পছন্দের রোদ চশমা। বড় সব বিপণিবিতান থেকে শুরু করে ছোট দোকানে পাওয়া যায় বাহারি রঙে সব ডিজাইনের চশমা। আইভিশনের কর্ণধার সেলিম মোহাম্মদ বলেন, এখন বাজারে ওয়েফার ফ্রেম (চারকোণা মাপের, কিন্তু কোণাগুলো গোলাকার) বেশ চলছে।

পাশাপাশি ওভার স্কয়ার শেপটা চলছে। এ ফ্রেমগুলো সাধারণত প্লাস্টিক ও মেটালের হয়। তাছাড়া পাইলট (আকার ত্রিকোণাকার, কিন্তু চারদিকের কোণাগুলো গোলাকার) ফ্রেমের চশমাও পাওয়া যায়। রঙের ক্ষেত্রে কালো, খয়েরি, সবুজ, ধূসর, নীলসহ বিভিন্ন রং। আরেক বিক্রেতা সাইদ আনাম জানান, ব্র্যান্ডভেদে রোদ চশমার কার্যকারিতায়ও রয়েছে ভিন্নতা। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি প্রতিরোধ করে এমন রোদ চশমাকে বলে পোলারাইজড সানগ্লাস। তাই রোদ চশমা কেনার সময় পোলারাইজড সানগ্লাস লেখা আছে কিনা নিশ্চিত হয়ে কিনুন।

ছেলেরা বেছে নিতে পারেন পাইলট, ওয়েফার বা ওভাল শেপের গ্লাস। রঙের ক্ষেত্রে কালো, বাদামি অথবা ধূসর। আর মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে বিভিন্ন রঙের ফ্রেমে স্টেন দেওয়া ওভাল শেপের রোদ চশমা।দেশের সবক’টি চশমার দোকানে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও নন-ব্র্যান্ডের রোদ চশমা পাবেন।

নামি ব্র্যান্ডের রোদ চশমার দাম বেশি। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মধ্যে রেবান ১ হাজার ৬০০ থেকে ২০ হাজার টাকা, আরমানি ২ থেকে ২২ হাজার, পুলিশ ২ থেকে ২০ হাজার, লুস বাটন ১০ থেকে ৩০ হাজার, মঁ ব্লাঁ ৩ হাজার ৫০০ থেকে ২৮ হাজার, কেরারা ১ হাজার ৮০০ থেকে ১৫ হাজার। ভোগ ১ থেকে ১৫ হাজার, ওকলে ২ থেকে ১৬ হাজার, শ্যানেল ৪ থেকে ২০ হাজার, পুমা ২ থেকে ২৫ হাজার, স্টিং ২ থেকে ২৫ হাজার, প্রদা ১ হাজার ৮০০ থেকে ২২ হাজার টাকার মধ্যে বিদেশি ব্র্যান্ডের রোদ চশমা পাওয়া যাবে। এছাড়া নন ব্র্যান্ডের রোদ চশমা সাধারণত ১৫০ থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে পাবেন।

মন্তব্য

Beta version