রোজায় দীর্ঘসময় পর্যন্ত পানাহার না করে থাকতে হয়। এ সময়ে শরীরে নানা উপাদানের ঘাটতি দেখা দেয়। বিশেষ করে পানি স্বল্পতার কারণে ত্বকে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। রমজানে অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকতে হয়।
এজন্য ইফতার পানি, শরবত অথবা ফলের জুস দিয়ে শুরু করতে পারেন। তবে শরবত ও ফলের জুস চিনিমুক্ত হতে হবে। ইফতারে হঠাৎ শরীরে চিনি গেলে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এতে কোলাজেনের ব্রেকডাউন বেড়ে যায়। ফলে আমাদের স্কিন অনেক মলিন হয়ে যায়।
এজন্য চিনিমুক্ত ফলের জুস ও শরবত খেতে হবে। ইফতারে খেজুর খাওয়া খুবই উপকারী। কারণ, সারা দিন রোজা রাখার পর আমাদের শরীরের মেটাবলিজম বন্ধ থাকে। ইফতার করলে আমাদের শরীরের মেটাবলিজম চালু হয় এবং খেজুর মেটাবলিজমের কার্যক্ষমতাকে দারুণভাবে সক্রিয় করে।
ইফতারে বেশি করে ফলমূল খেতে হবে। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা মেটাবলিজম চালু করতে সহায়তা করে। এরপর নামাজ শেষে কারও ভাজাপোড়া খেতে ইচ্ছা করে, সেক্ষেত্রে অল্প পরিমাণে খেতে পারেন।
তবে রাতের খাবারে অবশ্যই লাল আটা অথবা লাল চালের ভাত কিছুটা রাখলে বেশি ভালো হবে। এগুলো ত্বক ও ডায়াবেটিসের জন্য ভালো। সাহরির খাবার তালিকায় অবশ্যই তিনটি জিনিস রাখতে হবে। সেগুলো হলো, দুধ, কলা ও খেজুর।
এ তিনটি খাবার আমাদের শরীরে সারা দিন এনার্জি জোগাবে। তাছাড়া খাবারগুলো এসিডিটির সমস্যা রোধ করার পাশাপাশি শরীরের ইন্টারনাল অর্গানগুলো ভালো রাখতে সহায়তা করে।
মন্তব্য