সাধারণত শিশু বয়সে আমাদের কখনোই চুল ঝরে পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয় না। এ সমস্যা প্রথম দেখা দেয় টিনেজার বয়সে। টিনেজার বয়স বলতে বোঝানো হচ্ছে ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সের সব ছেলে ও মেয়েদের। এ বয়সেই শরীরের পুষ্টির মাত্রা কমতে শুরু করে। এ সময় হরমোনজনিত কারণে নানা ধরনের পরিবর্তন শুরু হয়।
আর এ কারণেই এই বয়সি ছেলে ও মেয়েদের অনেককেই ব্রন ও চুলের সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিনেজার বা বয়ঃসন্ধিতে চুল ঝরে পড়াটা স্বাভাবিক। কারণ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানব শরীরে চুল ঝরে পড়ার প্রবণতা দেখা দেয়। চুলের জীবনচক্র অনুযায়ী, ছেলে বা মেয়েদের দৈনিক ৫০ থেকে ১০০টি চুল ঝরে পড়া স্বাভাবিক। তবে এর চেয়ে বেশি চুল ঝরে পড়ার প্রবণতা অবশ্যই চিন্তার বিষয়।
এই সময় চুল ঝরে পড়া কোনো শারীরিক সমস্যার মধ্যে না পড়লেও সঠিক পরিচর্যার অভাবে আপনি আপনার মাথার চুলের ঘনত্ব হারাতে পারেন। ছেলেদের কিশোর বয়সের এই সমস্যাই পরবর্তীতে মাথায় টাকের সমস্যা সৃষ্টি করে।
ভারতের বিখ্যাত ডার্মাটোলজিস্ট ডা. শতীষ ভাটিয়া টিনেজার বয়সে চুল ঝরে পড়ার কিছু কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। এগুলো হলোÑ শরীরে হরমোনের পরিবর্তন, দুশ্চিন্তা, কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, অস্বাস্থ্যকর ডায়েট, পুষ্টিহীনতা, খাবারে প্রোটিন, আয়রন, ভিটামিন ডি,
ভিটামিন বি১২ ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি, চুলে রং ও হেয়ার স্প্রের ব্যবহার, ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া বা চুল টানার ব্যাধি, অ্যালোপেশিয়া রোগ অর্থাৎ যে পরিমাণে চুল ঝরে পড়ে সে পরিমাণে চুল না গজানো ইত্যাদি।তিনি আরো বলেন, কোভিডের কারণে অনেক টিনেজারকে তিনি চুল ঝরে পড়ার সমস্যায় পড়তে দেখেছেন। তাই টিনেজার বয়সে চুল ঝরে পড়ার একটি অন্যতম কারণ হলো কোভিডে আক্রান্ত হওয়া।
তাই বয়ঃসন্ধির এই সময়টাতে যদি চুল ঝরে পড়ার প্রবণতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয় তবে এর সঠিক কারণ খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। তাতেও কোনো সুরাহা না পেলে দ্রুত একজন ডার্মাটোলজিস্টের শরণাপন্ন হন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
মন্তব্য