-->
শিরোনাম

চল্লিশেও যৌবন ধরে রাখতে...

ট্রেন্ড ডেস্ক
চল্লিশেও যৌবন ধরে রাখতে...

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ৪০ বছর বয়স পার হলেই নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। বিশেষ করে শহরে বাস করা মানুষের মাঝে চল্লিশ পার হওয়া মানেই ডায়াবেটিস, প্রেশার, সুগার, জয়েন্ট পেইন ইত্যাদি যেন ভাগ্যে লেখা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ বছরের সময়টা মানুষের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় নিজের যত্ন নেয়া আরো বেশি জরুরি।

এই বয়সে নারীরা মেনোপজের দিকে এগোতে থাকে। পুরুষদেরও দেখা দেয় নানা শারীরিক জটিলতা। তবে এসব জটিলতা এড়িয়ে চলতে কিছু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। চল্লিশেও যৌবন ধরে রাখতে নিয়মিত ব্যায়ামের বিকল্প নেই।

ভারতের ফিটনেস বিশেষজ্ঞ সৌমেন দাস সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন, চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ এমন একটা বয়স যখন এক্সারসাইজও খুব হিসেব করে করতে হবে। খুব বেশিও করা যাবে না, আবার কমও নয়। অনেকে কয়েকটা ভুল করেন। সুগার-প্রেশার ধরা পড়লে অতিরিক্ত শারীরচর্চা শুরু করে দেন। এতে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পরিমিত এক্সারসাইজে মন দেয়া উচিত।

পুরুষদের শারীরচর্চা : চল্লিশের পরে ছেলেদের মাসল ঢিলা হতে শুরু করে। এতে গায়ে হাত পায়ে ব্যথা হয়। এই বয়সে স্ট্রেসের মাত্রাও বেড়ে যায়। অনেক রকম রোগব্যাধির সূত্রপাত হয়। সৌমেন দাসের মতে, কিছু কার্ডিয়ো ওয়ার্কআউট তার সঙ্গে স্ট্রেংদেনিং এক্সারসাইজ এই দুটি মেলাতে হবে। কার্ডিয়োর মধ্যে হাঁটা, দৌড়ানো, জগিং, সাঁতার, অ্যারোবিক্স, পিলাতেস যা খুশি হতে পারে। রোজ ১৫-২০ মিনিট কার্ডিয়ো জরুরি।

এরপর স্ট্রেংদেনিং ওয়ার্কআউট। চেস্টের অংশের জন্য পেপ ডেক, ওয়াল পুশ আপ। কাঁধের জন্য সিঙ্গল হ্যান্ড শোল্ডার প্রেস, ডাবল হ্যান্ড শোল্ডার প্রেস। হাতের জন্য বাইসেপ-ট্রাইসেপ কার্ল। পায়ের অংশের জন্য স্কোয়াট করা যেতে পারে। এই বয়সে বহু পুরুষই ভুঁড়ি নিয়ে নাজেহাল হয়।

ক্রাঞ্চ কিন্তু ভুঁড়ি কমাতে অব্যর্থ ব্যায়াম। তার সঙ্গে মিনিট তিনেক প্লাঙ্ক। প্রতিটি এক্সারসাইজ বাড়িতেই করা সম্ভব, হালকা ওজনের ডাম্বেল ব্যবহার করে। সব ব্যায়ামই ১৬ কাউন্ট করে ৩-৪ সেটে করতে হবে। এছাড়াও শরীর লুজ হয়ে গেলে আত্মবিশ্বাস কমে যায়। সে কারণেই চেহারা টোনড করা জরুরি হয়ে পড়ে। তাতে নিজেকে দেখতেও ভালো লাগবে, মানসিক সুস্থতাও আসবে।

নারীদের শারীরচর্চা : নারীদের চল্লিশ থেকেই জয়েন্ট পেইন, আর্থ্রাইটিস জাতীয় সমস্যা বাড়তে থাকে। তাছাড়া ক্যারিয়ারের কারণে এখন অনেক নারীই মধ্য তিরিশে মা হন। ফলে চল্লিশে পৌঁছেই চেহারায় ভারিক্কি ভাব চলে আসে। সৌমেন দাসের মতে, ‘মা হওয়ার পরে মেয়েদের শরীরে অনেক বদল আসে। হরমোনাল বদল হয়।

চেহারার ভারী ভাব কাটানোর জন্য স্ট্রেংদেনিং এবং টোনড ওয়ার্কআউট প্রয়োজন। তার সঙ্গে অবশ্যই কার্ডিয়ো করতে হবে।’ পেটের অংশের মেদ কমাতে প্লাঙ্ক এবং ক্রাঞ্চ খুব জরুরি। যারা একদম প্রথম এক্সারসাইজ করছেন তারা ৩০ সেকেন্ড প্লাঙ্ক দিয়ে শুরু করুন। ধীরে ধীরে তিন মিনিটে নিয়ে যান। ক্রাঞ্চ করতে হবে ১৬ কাউন্টে তিন-চার সেটে।

চেস্টের অংশের জন্য ওয়াল পুশ আপ দিতে পারেন। পায়ের জন্য স্কোয়াট। এখানেও ১৬ কাউন্টে তিন-চার সেট। চল্লিশের শেষের দিকে বহু নারীই মেনোপজ নিয়ে নাজেহাল হন। এক ধরনের অবসাদ গ্রাস করে তাদের। ডি-স্ট্রেস ওয়ার্কআউট আমাদের শরীর, মন দুটিই সজীব করে তোলে। নারীদের জন্যও কার্ডিয়ো খুব জরুরি।

হাঁটা, জগিংয়ের বাইরে অ্যারোবিক্সের ক্লাসে ভর্তি হয়ে যেতে পারেন। এতে শরীর-মন ঝরঝরে হবে। স্ট্রেস কমানোর জন্য পিলাতেসও অব্যর্থ। এছাড়া চেহারা টানটান থাকলে কাজেও স্পৃহা আসবে, আত্মবিশ্বাসও বজায় থাকবে। তাই, চেহারা ঠিক রাখার ক্ষেত্রেও নজর দিতে হবে। সূত্র: আনন্দবাজার

মন্তব্য

Beta version