কথায় বলে পরের দিনের এনার্জি পাওয়ার জন্যই সারারাত খুব ভালো করে ঘুমানো দরকার। কারণ মানুষ এই সময় শুধু শারীরিকভাবে নয়, বরং মানসিকভাবে সক্রিয় হতে থাকে। তার সঙ্গে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও কিন্তু বাড়তে থাকে।
এ সময় শরীরের সমস্ত দশা নির্দিষ্ট অবস্থায় শিথিল থাকে। ফলে খাদ্য এবং উপদেয়গুলো ভালোভাবে কাজ করতে পারে। বর্তমান দিনে শরীরের প্রতি খেয়াল রাখা। সব থেকে বড় কথা, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা সত্যি প্রয়োজন। বিশেষ করে, চারদিকে ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার ছড়াছড়ি- নিজেকে সুস্থ রাখা খুব দরকার।
তাই বেশ কিছু অভ্যাস যেমন বদলানো দরকার, তেমনি বেশ কিছু অভ্যাস নতুন করে গ্রহণ করা দরকার। সকালের শুরুটাই ভালো অভ্যাস কিংবা শরীরচর্চার জন্য শ্রেষ্ঠ। এ সময় শরীরের অবস্থা যথেষ্ট ভালো থাকে, শক্তি বৃদ্ধি পায়। তাই নিজেকে আরো বেশি করে সক্রিয় রাখতে এ উপায়গুলো অবশ্যই জানা দরকার।
প্রথম- অবশ্যই সারারাতের ঘুম যেন ৭/৮ ঘণ্টা হয়। নইলে পেশি শিথিল অবস্থাতেই থেকে যায়। এর মধ্যে সেভাবে জোর বাড়ে না। তাই এদিকে লক্ষ্য রাখবেন এবং ঘুম থেকে কম করে ৭টার মধ্যে উঠে পড়াই শ্রেয়।
দ্বিতীয়- তারপরের কাজটি যেন ব্যায়াম কিংবা যোগসাধনা হয়। শরীরচর্চা নয়, যোগাসন সত্যিই প্রয়োজন। হালকা স্ট্রেচ এবং মানসিক প্রশান্তি শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে।
তৃতীয়- সময় বেঁধে ঠিক এর পরের কাজটি হতে হবে অয়েল পুলিং অথবা দন্ত তৈলের ব্যবহার। এটি বেশ ভালো একটি অভ্যাস শুধু তাই নয়। দেখা যায় এর থেকে শরীরের যোগপ্রাপ্ত অংশ যেমন নাক, মুখ এবং গলার মধ্যে থাকা অনেক ভাইরাস দূর হয়।
চতুর্থ- যে ইমিউনিটি বুস্টিং পানীয় আপনি খান, সেটি খেতে হবে। দুধ কিংবা কোনো ফলের শরবত খাওয়া যেতে পারে। এতে করে খিদে অনেকটা মেটে এবং সারারাতের পর কাজ করতে খুব সুবিধা হয়।
পঞ্চম- এরপর নিজের শরীরচর্চা করা শুরু করবেন। ট্রেনারের পরামর্শ নিতে পারেন। এ ছাড়াও নিজে থেকেও স্ট্রেচ, স্কোয়াড এগুলো করতে পারেন। তার ঠিক পরেই পুষ্টিকর জলখাবার, ভিটামিনÑ এগুলো সত্যিই দরকার। তাই খাবার ঠিক করে খাবেন।
সারাদিনে পরিমাণমতো পানি খাবেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সবজি এবং সঠিক পরিমাণে প্রোটিন-নিউট্রিশন যথেষ্ট পরিমাণে খাওয়া উচিত।
মন্তব্য