বয়স হলে সবচেয়ে বেশি মানুষ অস্টিওআর্থ্রাইটিসে ভোগে, যা মূলত ‘হাড়ক্ষয় রোগ’ নামে সবার কাছে পরিচিত। প্রকৃতপক্ষে হাড় কখনো ক্ষয় হয় না, বরং বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়। যাকে ‘অস্টিওপোরোসিস’ বলে।কাদের বেশি হয়?
মহিলাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে। মহিলাদের মাসিক বন্ধ হওয়ার পর শরীরে কিছু হরমোনের ঘাটতি দেখা দেয়, যার ফলে হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে এবং ধীরে ধীরে হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।
লক্ষণ
♦ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা অনুভূত হওয়া, শরীর ম্যাজম্যাজ করা, খাবারে অরুচি বা শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির লক্ষণ।
♦ বিভিন্ন বড় অস্থিসন্ধি যেমন : হিপ জয়েন্ট, হাঁটু কিংবা গোড়ালিতে ব্যথা এবং জড়তা অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা প্রদাহজনিত রোগের লক্ষণ।
♦ হাড়ের ঘনত্ব কমে গেলে যেকোনো সাধারণ আঘাতে হাড় ভেঙে যেতে পারে।
করণীয়
♦ বয়স ৩৫-এর পর থেকে নারী-পুরুষ উভয়ের উচিত বেশি বেশি ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার যেমন : দুধ, পনির, ছোট মাছ, ডিমের সাদা অংশ খাওয়া।
♦ সম্ভব হলে প্রতিদিন শরীরে রোদ পোহানো, যা রোদের আলট্রাভায়োলেটের মাধ্যমে অ্যাক্টিভেট হয়ে ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণ করে।
♦ নিয়মিত সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করা।
♦ ঘরোয়া ব্যায়ামের মাধ্যমে নিজেকে ফিট রাখা।
♦ শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. মোহাম্মদ ইফতেখার আলমসহকারী অধ্যাপকঅর্থোপেডিক সার্জারিইবনে সিনা ডি ল্যাব, মালিবাগ, ঢাকা
মন্তব্য