২০১৫ সাল থেকে ২১ জুনকে ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’ পালিত হয়ে আসছে। যোগ যে এক অমূল্য সম্পদ, সেই বার্তা দেওয়ার লক্ষ্যেই দিনটি পালিত হয়। নিয়মিত যোগ ব্যায়াম শরীরের নানা উপকার করে। শরীরের নমনীয়তা বাড়ায়, পেশির শক্তি বৃদ্ধি করে, শরীরের শ্বাসযন্ত্রকে সুস্থ রাখে, শরীরে বাড়তি এনার্জি ও শক্তি দেয়।
মনে করা হয়, হাজার হাজার বছর আগে ভারতেই এই যোগের উৎপত্তি হয়েছিল। যা বিভিন্ন পুরাণেও উল্লেখও আছে। প্রত্যেক বছরই এই দিনটির একটি থিম থাকে। এ বছরের থিম হলো মানবজাতির জন্য যোগ- Yoga for Humanity।
ভারতীয় দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত দেশের সর্ববৃহৎ যোগ উৎসবে অংশগ্রহণ করে জয়সান ইয়োগা। যেখানে আন্তর্জাতিক যোগ প্রটোকল ছাড়াও ২০ জনের একটি বিশেষ যোগ প্রদর্শনী প্রদর্শন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে দেশ এবং দেশের বাইরের প্রায় ১১০০ মানুষ উপস্থিত ছিল।
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি আয়োজিত ৫০০-এর অধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে জগন্নাথ হলের নাট মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়। যা পরিচালনা করেন কুশল রায় জয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন হলের প্রভোস্ট ড. মিহির লাল সাহা, নারায়ণ সাহা মনিসহ জ্ঞানীগুণী ও শুধী সমাজ।
এদিকে গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট আয়োজিত অনুষ্ঠানটি প্রায় ১৫০ জনকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় যা সুমন চন্দ্র দাস ও তন্দ্রা বড়ুয়া পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি,
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার-এর দ্বিতীয় সচিব রাজেন্দ্র সিং।
প্রায় ২০০ জনের এই যোগ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কাজী শাকিল মাহমুদ, হৃদয় রাজবংশী, মিনা চৌধুরী ও অনামিকা রায়। পৃথিবীর বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের তীরে যোগ দিবস অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নুরুল হাসান ও নুরা হোসেন।
২০ জন করপোরেট সদস্য নিয়ে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উৎসব এবং কর্মব্যস্ত জীবনে যোগের যে গুরুত্বÑ তার ওপর একটি বিশেষ সেমিনার হয়। যেখানে ছিলেন শর্মিষ্ঠা সরকার, আলবিনা শাহনাজ, রুশাফি সিকদার ও কুশল রায় জয়।
৫ দিনব্যাপী তৃতীয় বারের মতন অনলাইনে এই উৎসব উদযাপিত হচ্ছে। আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, নিউজিল্যান্ড, ভারত ও বাংলাদেশ থেকে এবার মোট ১৪ জন জ্ঞানীগুণী যোগ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও সুধী জনদের নিয়ে এ আয়োজন করছে জয়সান ইয়োগা অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার, বাংলাদেশ।
মন্তব্য