-->
শিরোনাম

নেপালে ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের নিয়ে একটি বাস খাদে ২৭ জনের মৃত্যু

খাতুন ই জান্নাত হৃদি, নেপাল প্রতিনিধি
নেপালে ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের নিয়ে একটি বাস খাদে ২৭ জনের মৃত্যু

শুক্রবার নেপালে কয়েক ডজন ভারতীয় তীর্থযাত্রী বহনকারী একটি বাস একটি মূল মহাসড়ক থেকে নেমে বিধ্বস্ত হলে অন্তত ২৭ জন নিহত ও ১৬ জন আহত হয়েছে, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বাসটি পৃথ্বী হাইওয়ে থেকে ছিটকে একটি দ্রুত প্রবাহিত নদীর দিকে গড়িয়ে পড়ে।

সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর মুখপাত্র শৈলেন্দ্র থাপা জানিয়েছেন, উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসাবশেষ থেকে ২৭ টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে এবং ১৬ জন আহতকে চিকিৎসার জন্য রাজধানী কাঠমান্ডুতে নিয়ে গেছে।

রাজধানী কাঠমান্ডু এবং নদী থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার (৭৫ মাইল) পশ্চিমে আবুখাইরেনি শহরের কাছে ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। এটি সরিয়ে ফেলার জন্য শনিবার থেকে কার্যক্রম চলছিলো এবং আজ সকালে পুনরুদ্ধারের কাজ শেষ হয়, কারণ বাসটি ইতিমধ্যে পুরোপুরি অন্ধকারে ছিল এবং অন্ধকারের কারণে পুনরুদ্ধার করা খুব কঠিন ছিল বলে বেশ কিছুটা সময় লেগেছে এর কাজ শেষ করতে।

কাঠমান্ডুতে ভারতীয় দূতাবাস নিশ্চিত করেছে যে বাসটিতে ৪৩ জন লোক ছিল এবং তারা সবাই ভারতীয় নাগরিক ছিল। দূতাবাস আরও বলেছে যে বাসটি মহাসড়ক থেকে প্রায় ১৫০ মিটার (৫০০ ফুট) নিচে পড়েছিল এবং তারা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।

প্রতিবেশী ভারতীয় শহর গোরখপুর থেকে বাসটি শুক্রবার পোখারার রির্সট শহর থেকে কাঠমান্ডুর দিকে যাচ্ছিল সেসময় চলন্ত অবস্থায় হাইওয়ে থেকে ছিটকে পরে যায়।

প্রতি বছর প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে কয়েক হাজার হিন্দু তীর্থযাত্রী নেপালে হিন্দু মন্দিরে আসে। নেপাল একটি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। স্থানীয় সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বাসে থাকা তীর্থযাত্রীরা হিন্দু দেবতা শিবের পূজনীয় মন্দির পশুপতিনাথ দর্শনের জন্য কাঠমান্ডুর দিকে যাচ্ছিলেন।

জুলাই মাসে, শুক্রবারের দুর্ঘটনাস্থল থেকে খুববেশি দূরে নয় ভূমিধসে দুটি বাস ভেসে যায়। ওই দুটি বাসে থাকা ৬৫ জনের মধ্যে মাত্র তিনজন বেঁচে যায় এবং প্রায় অর্ধেক লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই বাসগুলোর ধ্বংসাবশেষ এখনো পাওয়া যায়নি তবে কর্তৃপক্ষ অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে।

বর্ষা মৌসুম যা জুনে শুরু হয় এবং সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রসারিত হয় নেপালে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ভূমিধস এবং বন্যা হয়। ভারী বৃষ্টিপাত নদীগুলিকেও ফুলিয়ে তোলে এবং পাহাড়ি ভূখণ্ডের কারণে সাধারণত দ্রুত প্রবাহিত নদীগুলির গতি বাড়ায়। ঋতুতে নদীগুলি ঘোলাটে বাদামী হয়ে যায়, যে কোনো অনুসন্ধান মিশনকে কঠিন করে তোলে।

উদ্ধারকারীরা ডুবুরি, স্ক্যানার এবং এমনকি ভারী চুম্বক ব্যবহার করে ধ্বংসাবশেষ সনাক্ত করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

নেপালে বাস দুর্ঘটনা বেশির ভাগই হয় দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণের রাস্তা এবং যানবাহনের কারণে এবং দেশের বেশিরভাগ অংশ পাহাড়ে আচ্ছাদিত সরু রাস্তার কারণে। 

 

ভোরের আকাশ/মি

 

 

মন্তব্য

Beta version