স্কুল-কলেজে নতুন বছরে সীমিতভাবে ক্লাস শুরু হওয়ার ২০ দিন পরই তা আবার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে সরকার। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি এর কারণ হিসেবে বলেছেন, হঠাৎ করেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ও শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সারাদেশের মাঠ পর্যায় পর্যবেক্ষণ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এই বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুল-কলেজ বন্ধ করা হয়েছে।শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন,স্কুল-কলেজ বন্ধের যে নির্দেশনা আমরা পেয়েছি এটি মাধ্যমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সংক্রমণের হার কমে গেলে আবারো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হতে পারে। তবে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট বা অনলাইনে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের নিজেদের গৃহীত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল রয়েছে, সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীরা চলাচল করবে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে আবারো তারা ক্লাসে ফিরবে।
তিনি বলেন, আমরা খুশি মনে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছি এমনটা নয়। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা ক্লাসে আসতে পারছে না, বন্ধুদের সঙ্গে মিশতে বা খেলতে পারছে না। আমরা সবাই যদি যথাযথভাবে স্বাস্থবিধি মেনে চলতাম তাহলে হয়তো এমন পরিস্থিতি হতো না।
তবে শিক্ষকদের প্রশাসনিক কাজে যোগ দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাবেন। কেননা শিক্ষার্থীদের টিকা দান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। পরবর্তীতে পর্যবেক্ষণ শেষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধসহ ৫ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য