জাতীয় সংসদে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল, ২০২২ এর ওপর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রিপোর্টটি উপস্থাপন করেন। রিপোর্টে বিলটি সংশোধিত আকারে পাসের সুপারিশ করা হয়।
সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিধানের প্রস্তাব করে গত ২৩ জানুয়ারি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি উত্থাপন করেন।
বিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে প্রস্তাাবিত বিলের বিধি অনুযায়ি যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তির নাম সুপারিশ করার জন্য ৬ সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবে প্রধান বিচারপতি মনোনীত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি, প্রধান বিচারপতি মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি, মহাহিসাব নিরীক্ষিক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত দুজন বিশিষ্ট নাগরিক এ ৬ জন সদস্যের সমন্বয়ে অনুসন্ধান কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিল গঠনের ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটির রাষ্ট্রপতির বরাবরে সুপারিশ প্রেরণের বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া অনুসন্ধান কমিটি বিভিন্ন রাজনৈতিকদল ও পেশাজীবী সংগঠনের কাছে এ বিষয়ে নামের সুপারিশ আহ্বান করতে পারবে বলে বিলে বলা হয়েছে।
বিলে অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্য সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণের বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারের যোগ্যতার বিধানের প্রস্তাব করা হয়।
যোগ্যতার মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে, বয়স ন্যূনতম ৫০ বছর হতে হবে, কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধাসরকারি বা বেসরকারি পদে অন্যূন ২০ বছরের অভিজ্ঞতা।
এছাড়া বিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের অযোগ্যতার বিষয়গুলো নির্ধারনের বিধানের প্রস্তাব করা হয়।
অযোগ্যতার বিষয়গুলোর মধ্যে ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত কেউ প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে অযোগ্য বলে বিবেচিত করার সুপারিশ করা হয়।
মূল বিলে এখানে রয়েছে ফৌজদারি অপরাধে অন্যূন দুই বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত কেউ এ সব পদে নিয়োগে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
সূত্র: বাসস
মন্তব্য