-->
আঁচল ফাউন্ডেশনের জরিপ

এক বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক
এক বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
আঁচল ফাউন্ডেশনের সংবাদ সম্মেলন

২০২১ সালে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। এক বছরে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এত শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা এই প্রথম। সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা করেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে অর্ধশতাধিক জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় যেসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তার ভিত্তিতে চালানো এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশন।

শনিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করে এই জরিপের ফল প্রকাশ করে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা সংগঠনটি। আঁচল ফাউন্ডেশন বলছে, এর আগে ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ৮৯ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন। এছাড়া ২০১৮ সালে ১১ জন এবং ২০১৭ সালে ১৯ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন। ২০১৯ সালের তথ্য সংগঠনটির কাছে নেই।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জরিপে আরো বেশ কিছু ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। দেখা গেছে, সাধারণত মেয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি দেখা গেলেও ২০২১ সালে পুরুষ আত্মহত্যাকারীদের সংখ্যা ছিল বেশি, প্রায় দ্বিগুণ। করোনার মধ্যে সামাজিক, আর্থিক ও পারিবারিক চাপ বেড়ে যাওয়া পুরুষ শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার পেছনে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মহত্যার এই ভয়ানক প্রবণতা ঠেকাতে ১০ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে আঁচল ফাউন্ডেশন।

জরিপের তথ্যমতে, গত বছর সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা করেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬২ শিক্ষার্থী। এর হার ৬১.৩৯ শতাংশ। মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি দাঁড়ায় ১২ তে, যা মোট আত্মহননকারীর ১১.৮৮ শতাংশ।

ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সংখ্যা ৪, যা মোট আত্মহত্যাকারীর ৩.৯৬ শতাংশ। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মহত্যার হার ২২.৭৭ শতাংশ, যা সংখ্যায় ২৩ জন।

এসব তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা করেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আর সবচেয়ে কম আত্মহত্যা করেছেন ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার ঘটনা অনুসন্ধানে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের সংখ্যা ৯ জন। এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ জন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা করেছেন ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, তাদের সংখ্যা ৩ জন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মহননের এমন হার নিঃসন্দেহে ভীতিকর।

বয়সভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২২-২৫ বছর বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে বেশি। ৬০টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে এই বয়সী শিক্ষার্থীর মাঝে, যা মোট ঘটনার ৫৯.৪১ শতাংশ।

১৮-২১ বছর বয়সীদের আত্মহত্যার ঘটনা মোট ঘটনার ২৬.৭৩ শতাংশ বা ২৭ জন। এছাড়া ২৬-২৯ বছর এবং ২৯ বছরের বেশি বয়সীদের মাঝে এই হার যথাক্রমে ৯.৯০ শতাংশ ও ৩.৯৬ শতাংশ, যা সংখ্যায় ১০ ও ৪।

সাধারণত নারী শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মহত্যার হার বেশি দেখা গেলেও ২০২১ সালের সমন্বয়কৃত তথ্যে দেখা যায়, আত্মহত্যাকারীদের একটা বড় অংশই ছিল ছেলে শিক্ষার্থী। মোট ৬৫ জন ছেলে শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন, যা মোট শিক্ষার্থীর ৬৪.৩৬ শতাংশ। নারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ছিল ৩৬ জন বা ৩৫.৬৪ শতাংশ।

বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, পুরুষ আত্মহত্যাকারীদের সংখ্যা নারীদের প্রায় দ্বিগুণ। করোনার মধ্যে সামাজিক, আর্থিক ও পারিবারিক চাপ বেড়ে যাওয়া ছেলে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার পেছনে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে।

মাসভিত্তিক আত্মহত্যা প্রবণতা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিসেম্বর মাসে এই হার সবচেয়ে বেশি ছিল, যা সমন্বয়কৃত ঘটনার ১৪.৮৫ শতাংশ বা ১৫ জন। সবচেয়ে কম ছিল এপ্রিল মাসে, যা ১.৯৮ শতাংশ বা ২ জন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালের চেয়ে শীতকালে আত্মহত্যার হার বেশি দেখা যায়। আত্মহত্যার কারণ খুঁজতে গিয়ে আরো উদ্বেগজনক কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্যগুলো বিশ্লেষণে দেখা যায়, অনার্স পড়ুয়া ৩য় এবং ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার তুলনামূলক বেশি, যা ৩৬.৬৩ শতাংশ।

ধারণা করা যায়, এই শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারকেন্দ্রিক সামাজিক চাপ বেশি থাকে এবং ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার কারণে তাদের মাঝে হতাশার ছাপ বেশি দেখা যায়।

আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ‘সম্পর্কগত কারণে’ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন ২৪.৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী এবং পারিবারিক সমস্যার কারণে এ পথে গেছেন ১৯.৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী। অন্যদিকে মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ১৫.৮৪ শতাংশ শিক্ষার্থী বেছে নিয়েছেন আত্মহননের পথ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘দুঃখজনক হলেও সত্যি পড়াশোনা সংক্রান্ত কারণে আত্মহত্যা করেছেন ১০.৮৯ শতাংশ শিক্ষার্থী এবং আর্থিক সমস্যা কবলিত হয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন ৪.৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী।’

সমন্বয়কৃত তথ্য বিশ্লেষণে আরও দেখা যায়, মাদকাসক্ত হয়ে নির্বিকারে নিজের জীবন হননের পথ বেছে নিয়েছেন ১.৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। আরো নানাবিধ কারণে আত্মহত্যা করেছেন ২১.৭৮ শতাংশ শিক্ষার্থী।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক এবং নাসিরুল্লাহ সাইকোথেরাপি ইউনিটের পরিচালক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান, ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর এবং আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ।

আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে না পারাকে আত্মহত্যা বেড়ে যাওয়ার পেছনে প্রধান নিয়ামক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘পত্রিকা বিশ্লেষণ করে এটা স্পষ্ট যে, আত্মহত্যার কারণগুলো বাইরে থেকে যতটা দেখা যাচ্ছে, সমস্যা তার চেয়েও গভীর। নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর প্রয়োজনীয় শিক্ষার সুযোগ অপর্যাপ্ত বিধায় তাদের জীবনে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটলে তারা সেটা সামলাতে পারে না।

‘প্রেমে বিচ্ছেদ হলে তারা যেমন ভেঙে পড়ে, তেমনি পরীক্ষায় খারাপ ফলাফলও তাদেরকে আশাহত করে। আমরা যদি তাদেরকে শেখাতে পারি যে ভালো-মন্দ যাই ঘটুক না কেনো, সেটা জীবনেরই অংশ এবং আত্মবিশ্বাস না হারিয়ে তাদেরকে ধৈর্য্যশীল হতে হবে। ফলশ্রুতিতে এই শিক্ষার্থীরা যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারবে।

‘পাশাপাশি সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে বাস্তবমুখী কিছু জ্ঞান যেমন- আর্থিক ব্যবস্থাপনা, আবেগ নিয়ন্ত্রণ, ক্যারিয়ার কেন্দ্রিক দক্ষতা উন্নয়ন ইত্যাদি আত্মহত্যা হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’

দ্রুত সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার ঘটনাগুলো আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে, এখনই পদক্ষেপ নিতে না পারলে পরবর্তীতে আমাদের অনুশোচনা করতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষায় দায়িত্বশীলদের অবদান রাখার সঠিক সময় এখনই।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক কামাল চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে গত কয়েক বছরের আত্মহত্যার পরিসংখ্যান বিশেষত কোভিড পরিস্থিতিতে এই বিষয়ের পরিসংখ্যান এবং তার ফল যথেষ্ট ভীতিকর। কোভিড-১৯ ভাইরাস নিয়ে আমরা যতখানি আতঙ্কিত, আত্মহত্যায় মৃত্যুবরণ করা অসংখ্য মানুষকে নিয়ে কিন্তু আমরা ততোটা চিন্তিত নই।

‘সমীক্ষা বলছে, শিক্ষা সংক্রান্ত যেমন পড়াশোনার চাপ, বিভিন্ন পরীক্ষায় ব্যর্থতা, পরিবারের সঙ্গে অভিমান, প্রেমঘটিত সম্পর্কের বিচ্ছিন্নতা, একাকীত্ব ইত্যাদি নানাবিধ কারণ আত্মহত্যার জন্য দায়ী। দুঃখজনক হলেও সত্য, এই মৃত্যুর মিছিলে প্রতিবছরই নতুন নতুন অসংখ্য তরুণ-তরুণী সামিল হবেন, যেহেতু মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে আমরা উদাসীন।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমাদের দেশের জন্য হওয়া এই বড় ধরনের ক্ষতি রোধ করতে যদি সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিতভাবে কাজ করা যায় এবং প্রতিটি জেলায় আত্মহত্যা সেল গঠন করে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা যায়, তবে অনেকাংশেই আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। আমি আশাবাদী যে, সমন্বিতভাবে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে এটা নিয়ে কাজ করার উদ্দেশ্যে আমরা এ ধরনের একটি দিক-নির্দেশনা তৈরি করতে পারব।’

১০ দফা প্রস্তাবনা

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সংবাদ সম্মেলনে ১০ প্রস্তাবনা তুলে ধরেন আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ।

সেগুলো হচ্ছে-

১) প্রতিটি জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে মেন্টাল হেলথ প্রফেশনাল নিয়োগ দেওয়া এবং ইয়্যুথ অর্গানাইজেশনকে যথাযথ ট্রেনিংয়ের আওতায় নিয়ে আসার মাধ্যমে যথাযথ মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা।

২) পলিসি ডায়ালগে তরুণদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা পুরোপুরি দেশের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে আত্মহত্যার হার কমিয়ে আনা।

৩) মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ও সেবাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় অন্তর্ভুক্ত করা।

৪) মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ট্যাবু ও হীনমন্যতা দূরীকরণে প্রাথমিক স্কুল পর্যায় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পাঠ অন্তর্ভুক্ত করা।

৫) মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহে জরুরি ভিত্তিতে একটি জাতীয় হটলাইন সেবা চালু করা।

৬)  মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করার লক্ষ্যে সরকার একটি বিশেষ অ্যাপ চালু করতে পারে, যেন যে কেউ দ্রুত মনোবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারে।

৭) প্রান্তিক পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রাথমিক মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং তরুণদেরকে মেন্টাল হেলথ ফার্স্ট এইড ট্রেইনিং সরবরাহ করা।

৮) শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যক্তি, পরিবার ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে যুগপৎভাবে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন আয়োজন করা।

৯) সচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ভূমিকা জোরদার করা।

১০) মানসিক চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ ফি ও ঔষধের দাম কমানো।

মন্তব্য

Beta version