দুই দফা কমার পর বেড়েছে রান্নার কাজে ব্যবহৃত তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, রান্নার কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ১২ কেজি ওজনের একটি এলপিজির সিলিন্ডারের দাম ঠিক করা হয়েছে মূসকসহ ১ হাজার ২৪০ টাকা, যা জানুয়ারি মাসে ১ হাজার ১৭৮ টাকা ছিল। অর্থাৎ, এ মাসে বাড়তি গুনতে হবে অন্তত ৬২ টাকা।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে বলে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
বেসরকারি খাতে প্রতি কেজি এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৩ টাকা ৩৪ পয়সা, এটি সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য। এ হিসাবে বিভিন্ন পরিমাণের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে। এ ছাড়া গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৫৭ টাকা ৮১ পয়সা, যা আগে ছিল ৫৪ টাকা ৯৪ পয়সা।
গত বছরের ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করে বিইআরসি। এর পর প্রতি মাসে একবার দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। টানা পাঁচ মাস বৃদ্ধির পর ডিসেম্বরে দাম কমা শুরু করে। জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মাসের মতো দাম ৪ শতাংশ কমলেও ফেব্রুয়ারিতে এসে বেড়ে গেল ৫ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, ইতোমধ্যে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহকারী সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও মার্জিন বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। আবার পেট্রোবাংলা প্রস্তাব দিয়েছে গ্যাসের খুচরা মূল্য বাড়ানোর। তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে এবং এসব প্রস্তাবের ওপর পর্যালোচনা, কারিগরি কমিটির বিশ্লেষণ ও গণশুনানি শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নতুন মূল্য হার অনুযায়ী, এলপিজির সাড়ে ৫ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৫৬৮ টাকা, ১২ কেজি সিলিন্ডার ১২৪০ টাকা, সাড়ে ১২ কেজি ১২৯২ টাকা, ১৫ কেজি ১৫৫০ টাকা, ১৬ কেজি ১৬৫৩ টাকা, ১৮ কেজি ১৮৬০ টাকা, ২০ কেজি ২০৬৭ টাকা, ২২ কেজি ২২৭৩ টাকা, ২৫ কেজি ২৫৮২ টাকা, ৩০ কেজি ৩১০০ টাকা, ৩৩ কেজি ৩৪১০ টাকা, ৩৫ কেজি ৩৬১৭ টাকা ও ৪৫ কেজির বোতল ৪৬৫০ টাকা ঠিক করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির সদস্য মোহাম্মদ আবু ফারুক, মকবুল ই ইলাহি চৌধুরী, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিশনের সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী।
মন্তব্য