সমুদ্রসীমায় বড় বড় দেশের নজর রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
সমুদ্রসীমায় বড় বড় দেশের নজর রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজধানীর সোনারগাঁও হেটেলে সেন্টার ফর নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশি আয়োজিত ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। ছবি- ভোরের আকাশ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় বিভিন্ন বড় বড় দেশগুলোর নজর রয়েছে। এ কারণেই সেসব দেশ বাংলাদেশের সমুদ্রসীমাকে ব্যবহার করতে চায়। সেই সুযোগ পাচ্ছে না বলেই এসব দেশ মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম-খুন ও বিচারহীন হত্যাকাণ্ডের মতো অভিযোগ এনে বাংলাদেশকে চাপের মুখে রাখতে চায়।

শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সোনারগাঁও হেটেলে সেন্টার ফর নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশি আয়োজিত ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু নিখোঁজের ঘটনা যে ঘটে না তা নয়। পৃথিবীর অন্য দেশেও নিখোঁজের ঘটনা আছে। জাতিসংঘের কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান নিখোঁজের যে তালিকা করেছে, তার মধ্যে অনেকেই অবৈধ উপায়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে মারা গেছেন।

‘জাতিসংঘের নিজেদের কোনো গবেষণা নেই, বাংলাদেশি একটি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে তারা নিখোঁজের প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এটি খুবই পক্ষপাতমূলক।’

তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের তালিকা অনুযায়ী তাদের কাউকেই আমরা চিনি না, দুই-একজনকে চেনা গেছে। তাদের তথ্য নিতে পুলিশ পরিবারের কাছে দুই-একবার গেছে। পুলিশের ধারণা, দিনের বেলা তারা থাকবে না, তাই রাতের বেলা গেছে।

‘তখন তারা অভিযোগ করেছে যে, তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। পুলিশ জানতে চায়, তাদের পরিবারের সদস্য কবে, কোথায়, কেন গেছেন, কিছু জানে কিনা। কারণ অনেকেই আবার ফেরত চলে আসে। দুই-একদিন এ রকম করার পর তারা অভিযোগ করলেন।’

কেউ নিখোঁজ বা খুনের শিকার হোক সরকার তা চায় না উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, ‘আমাদের দেশে এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স শব্দই তো নেই। আমরা চাই না, কাউকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা চাই প্রত্যেকের আইনের মাধ্যমে বিচার হবে।

‘নিখোঁজ থাকাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা পুলিশকে আমরা বলেছি। সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তাদের পরিবারের সদস্যদের বর্ণনা করবেন, তাদের কবে কোথায় কীভাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কিংবা ফেরত এসেছেন কিনা।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতা হারিছ সাহেবের নিখোঁজের খবর বেরিয়েছিল। অথচ তার মেয়ে বলেছেন, তিনি নাকি দেশেই ছিলেন এবং দেশেই নাকি মারা গেছেন। বিএনপির আরেক নেতা নিখোঁজের পর দেখলাম তিনি ভারতে আছেন।

‘এসব ঘটনাকে আপনারা কি বলবেন? সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে একটা গোষ্ঠী তাদের সব রকমের অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’

মন্তব্য