ইতালি থেকে শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দেশে এসেছে এক বাংলাদেশি ভাগ্যান্বেষীর মরদেহ। নিহতের নাম ইমরান হোসেন। তার বাড়ি মাদারীপুরের সদর উপজেলার পশ্চিম পিয়ারপুর গ্রামে।
জানা গেছে, বাকি ছয় জনের মরদেহ পরবর্তী ছয় দিনে এসে পৌঁছুবে। শনিবার রোমের বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র এ তথ্য জানায়।
ইমরানের মরদেহ ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের তত্ত্বাবধানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছুলে বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক তার মরদেহ গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের অ্যাম্বুলেন্সে তার মরদেহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভূমধ্যসাগরে মারা যাওয়া ৭ বাংলাদেশির পরিচয় এরই মধ্যে প্রকাশ করেছে ইতালির রোমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। অপর ৬ জন হলেন, মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম পিয়ারপুর গ্রামের জয় তালুকদার ওরফে রতন, একই উপজেলার ঘটকচর গ্রামের সাফায়েত ও মোস্তফাপুর গ্রামের জহিরুল।
এছাড়া মাদারীপুর সদর উপজেলার বাপ্পী নামের এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা গেলেও তার গ্রামের তথ্য পাওয়া যায়নি। সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার মামুদপুর গ্রামের সাজ্জাদ ও কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার সাইফুল নামের অপর ব্যক্তিকে শনাক্ত করা গেলেও তার গ্রামের তথ্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে ইতালি নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেন, মরদেহগুলো সিসিলি প্রদেশের এগ্রিজেন্তো এলাকায় অবস্থিত মর্গে রাখা আছে। লাশ ফেরত পাঠানো বা দাফন সম্পাদনের আগ পর্যন্ত মর্গে রাখা হবে।
২৫ জানুয়ারি লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালির ল্যাম্পেদুসা দ্বীপে যাওয়ার পথে অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় এই ৭ বাংলাদেশি মারা যান। যদিও ইতালি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। এমনকি তাদের শনাক্ত করার কোনো নথিও না থাকায় শনাক্তকরণে প্রক্রিয়ায় জটিলতা দেখা দেয়।
উদ্ধারকারী ও ল্যাম্পেডুসায় পৌঁছা অন্য বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলে দূতাবাস কর্মকর্তারা তাদের পরিচয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন। ইতালির রোমে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
মন্তব্য