-->

ফেব্রুয়ারির শেষদিকে খুলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আশা প্রধানমন্ত্রীর

ভোরের আকাশ ডেস্ক
ফেব্রুয়ারির শেষদিকে খুলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আশা প্রধানমন্ত্রীর
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যাশা করছেন, দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির আরেকটু উন্নতি হলে এ মাসের শেষের দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া সম্ভব হবে। রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘এখন একটু খারাপ সময় গেলেও আমরা আশা করি এ মাসের শেষে দিকে অবস্থার একটু পরিবর্তন হবে এবং সেই সময় আমরা স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবার খুলে দিতে পারবো।’

তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হয়ে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংশ্লিষ্ট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানগণের কাছ থেকে পরীক্ষার ফলাফলের পরিসংখ্যান ও প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার সর্বস্তরের মানুষকে সুরক্ষার জন্য টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছে। তাই সবাইকে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

টিকা গ্রহণে অনেকের অনীহার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে আমরা খুলতে পারি সেজন্য টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। কাজেই যারা এ পর্যন্ত টিকা নেননি তাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে-আপনারা টিকা নিয়ে নেবেন। এই ভ্যাকসিন নিলে পরে করোনা ধরলেও সেটা ওরকম খারাপ পর্যায়ে যাবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছিল বলেই করোনাকালেও অনলাইনে এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত রাখতে সমর্থ হয়েছে। তবু এই করোনাকালে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের শিক্ষার্থীরা।

তিনি বলেন, বর্তমানে পরিবারগুলো ছোট হয়ে আসার পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে না পাড়ায় অনেক ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীদের একাকীত্বে ভুগতে হয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, অনলাইন বা টেলিভিশনে তার সরকার শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে সেটা ঠিক কিন্তু স্কুল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার যে নির্মল আনন্দ পাওয়া যায় তা থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত ছিল।

তিনি বলেন, যা হোক যখনই আমরা করোনাকে একটু নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি তখনই স্কুলগুলো চালু করেছিলাম। কিন্তু, দুর্ভাগ্য হচ্ছে, আবার নতুন সংক্রমণ দেখা দিল।

তিনি বলেন, সরকার ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সরাসরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু ২০২২ সালে এসে এই ফেব্রুয়ারি মাসের আগ থেকে আবার করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি, আমরা খুব দ্রুত সমাধান করতে পারবো। ইতোমধ্যে আমরা টিকাও দিচ্ছি। যে সমস্ত ছেলে-মেয়ের বয়স ১২ বছরের ওপরে তাদেরকেও টিকা দেওয়া হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী স্বাগত ভাষণ দেন। মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা বিভগের সচিব আবু বকর সিদ্দিক অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এবছর করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে বিভাগ ভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের ছয়টি পত্রে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী এসব পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

২০২১ সালে প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্যে ৭ দশমিক ৩০ লাখ ছেলে এবং ৬ দশমিক ৭০ লাখ মেয়ে। বাসস

মন্তব্য

Beta version