সব বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর একই ধরনের নকশার হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতস্বরূপ মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ তথ্য জানান।
বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিনামূল্যে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী মোজাম্মেল বলেন, জেলা-উপজেলাসহ দেশের বিশেষায়িত হাসপাতালসমূহে চিকিৎসা, ওষুধ, টেস্ট, যা প্রয়োজন তার সবই দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের জায়গায় শিশু পার্ক নির্মাণ করেছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, আমরা ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নির্দিষ্ট স্থান মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার হিসেবে সংরক্ষণ করতে চাই। যেখানে মানুষ গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারবে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব স্থানে যুদ্ধ হয়েছিল, সেসব স্থান আমরা সংরক্ষণ করছি।
‘বধ্যভূমিগুলোও আমরা সংরক্ষণ করছি। যদি কোনো মুক্তিযোদ্ধা মারা যান তাদের একই রকম ডিজাইনের কবর দেওয়া হবে, যেন ৫০ বছর পরেও একটি কবর দেখে বোঝা যায়, এটি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর।’
এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার অংশ নেন। এতে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন সব জেলার প্রশাসক।
অনুষ্ঠানে ৬৫৪ জন মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দেওয়া হয়। সম্মাননাপ্রাপ্ত সব মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ক্রেস্ট/সম্মাননা স্মারক, উত্তরীয়, শাড়ী ও স্যুভেনিয়র প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন থেকে ৬৫ জন মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এবং বাকিদের জেলা প্রশাসকরা তাদের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সংশ্লিষ্ট জেলার মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্রেস্ট/সম্মাননা স্মারক, উত্তরীয়, শাড়ী ও স্যুভেনিয়র প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে মুজিববর্ষের থিম সং এবং মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবময় ও সংগ্রামী জীবনের ওপর নির্মিত গীতিআলেখ্য পরিবেশিত হয়।
অনুষ্ঠানে সম্মাননাপ্রাপ্ত মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাকদুমা নার্গিস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা খানম সাকী এবং গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া শিরিন তার অনুভূতি প্রকাশ করেন।
সূত্র: বাসস
মন্তব্য