-->
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির কাছে তালিকা দেবে সার্চ কমিটি

রাতেই হতে পারে ইসি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাতেই হতে পারে ইসি গঠন

নতুন সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে প্রস্তাবিত ১০টি নাম নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করবে সার্চ কমিটি। সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সার্চ কমিটির সাক্ষাতের কর্মসূচি রয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন। তালিকা দেওয়ার পর রাতেই ইসি গঠন হতে পারে।

সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত ১০ জন থেকে অনধিক পাঁচজনকে নিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দেবেন রাষ্ট্রপ্রধান, যারা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজন করবেন। এদিকে কারা যাচ্ছেন ইসিতে এ নিয়ে রাজনৈতিক দলসহ সাধারণ মানুষের কৌতূহলের যেন শেষ নেই। ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সম্ভাব্য কমিশনারদের কিছু কিছু নাম এসেছে। তবে তা কতটুকু সত্য এ নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। তবে প্রতি পদের বিপরীতে দুই জনের নাম প্রস্তাব করেছে ইসি গঠনে গঠিত সার্চ কমিটি।

নাম পাওয়ার পর কবে নাগাদ নতুন সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ হতে পারে- জানতে চাইলে প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘বিষয়টি সম্পূর্ণ মহামান্য রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার। তিনি যখন মনে করবেন, তখন নিয়োগ দেবেন। রাষ্ট্রপতির আদেশের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন করবে।’

২০১৭ সালে তখনকার সার্চ কমিটি যেদিন রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ তুলে দিয়েছিলেন, সেদিনই নিয়োগের আদেশ হয়েছিল।

সার্চ কমিটির নাম প্রকাশের জন্য লিখিত আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সার্চ কমিটির প্রধানের কাছে বুধবার আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি গঠিত এবারের সার্চ কমিটি গত মঙ্গলবার তাদের সপ্তম বৈঠকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে। বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন এই কমিটিতে সদস্য আছেন বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন, লেখক-অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক, মহা হিসাব নিয়ন্ত্রক ও নিরীক্ষক (সিএজি) মুসলিম চৌধুরী এবং সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন।

কাদের কাদের নাম প্রস্তাব করছেন, তা প্রকাশ করেনি সার্চ কমিটি। তারা বলছে, এটা প্রকাশের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির। তবে সার্চ কমিটি রাজনৈতিক দলসহ সবার কাছে চাওয়ার পর যে ৩২২টি নাম এসেছিল, তা প্রকাশ করেছে।আর সার্চ কমিটির প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান যেহেতু বলেছেন, তারা নিজেরা নতুন কোনো নাম যোগ করেননি, সেহেতু প্রস্তাবিত ১০ জনের নাম ৩২২ জনের তালিকার মধ্যে রয়েছে।

আইনে বলা হয়েছে, স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করবে সার্চ কমিটি। আইনে বেঁধে দেওয়া যোগ্যতা, অযোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও সুনাম বিবেচনা করে সিইসি পদের জন্য দুইজন এবং নির্বাচন কমিশনারের শূন্য পদের প্রতিটির জন্য দুজনের নাম তারা প্রস্তাব করবে রাষ্ট্রপতির কাছে।

সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার পদে কাউকে সুপারিশের ক্ষেত্রে তার তিনটি যোগ্যতা থাকতে হবে। তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে; বয়স ন্যূনতম ৫০ বছর হতে হবে; কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত পদে বা পেশায় পদে অন্তত ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

গত ১২, ১৩ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি তিন দিনে চার দফায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মোট ৪৭ জন বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে বৈঠক করে সার্চ কমিটি। বিশিষ্টজনরা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে কাদের নাম দেওয়া যেতে পারে সে ব্যাপারে সার্চ কমিটিকে পরামর্শ দেন। এর আগে সার্চ কমিটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও আগ্রহী ব্যক্তিদের নির্বাচন কমিশনার হওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদের নাম পাঠানোর অনুরোধ করেছিল।

মন্তব্য

Beta version