-->
শিরোনাম

অমুসলিম শিক্ষার্থীদের হিজাব ‘বাধ্যতামূলক করার’ প্রতিবাদ হিন্দু মহাজোটের

নিজস্ব প্রতিবেদক
অমুসলিম শিক্ষার্থীদের হিজাব ‘বাধ্যতামূলক করার’ প্রতিবাদ হিন্দু মহাজোটের
জাতীয় প্রেসক্লাবে শুক্রবার বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সংবাদ সম্মেলন। ছবি- ভোরের আকাশ

যশোরের আদ-দ্বীন সাকিনা মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে অমুসলিম শিক্ষার্থীদের হিজাব বাধ্যতামূলক করার অভিযোগ এনে তার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।

শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে সংবাদ সম্মেলন করে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে মৌলবাদী গোষ্ঠী প্রকাশ্যে হিন্দু নারীদের শাখা সিঁদুর ও হিন্দু পুরুষদের ধুতি পরা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ করে সংগঠনটি।

এ সময় বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি সুধাংশু চন্দ্র বিশ্বাস, সহসভাপতি উত্তম চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। স্বাধীনতার মাসে ‘মিডিয়া ও ইয়ুথ ডেলিগেশনের নামে’ পাকিস্তান হাই কমিশনের ‘অপতৎপরতা’ বন্ধেরও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আপনারা এরইমধ্যে জেনেছেন যশোরের আদ-দ্বীন সকিনা মেডিক্যাল কলেজে অমুসলিম শিক্ষার্থীদের ও হিজাব বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যা ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

‘২০১০ সালের ৪ অক্টোবর হাইকোর্ট এক রায়ে বলেছেন, বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে কোনো ব্যক্তিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধ্য করা যাবে না। তবে এই আদেশ অমান্য করে চলেছে আদ-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ। তারা প্রতিষ্ঠানে ড্রেস কোড হিসেবে হিজাব বেছে নিয়েছে।’

তিনি বলেন, আদ-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজে ছাত্রীদের ড্রেস কোড হিসেবে হিজাবকে বেছে নেওয়ায় সব ধর্মের শিক্ষার্থীরা তা পরতে বাধ্য হচ্ছেন। ছাত্রীদের ভর্তির সময়েই এ বিষয়ে লিখিত সম্মতি নিচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। আর হিজাব পরতে অসম্মতি জানালে তাদের বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ভর্তি করা থেকে বিরত রাখা হচ্ছে।

মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে বলেন, ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন এ দেশে নিয়মিত প্রক্রিয়া হয়ে দাড়িয়েছে। কোনো কিছু হলে হিন্দু সম্প্রদায়ের স্থাপনায় ও ধর্মের ওপর আঘাত করা এখন অনেকের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। মূল উদ্যেশ্যই হচ্ছে হিন্দুদের মনে ভীতি তৈরি করে তাদের দেশ ত্যাগে বাধ্য করা।

‘অমুসলিম ছাত্রীদেরও হিজাব পরতে বাধ্য করার বিষয়টি তদন্তের করে যশোরের আদ-দ্বীন সকিনা মেডিক্যাল কলেজেটির পরিচালকসহ যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি পল্টনে এক মৌলবাদী গোষ্ঠীর সমাবেশ থেকে প্রকাশ্যে হিন্দু নারীদের শাঁখা সিঁদুর ও হিন্দু পুরুষদের ধুতি পরা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এই গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। সরকার এবং প্রশাসনকে এদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

মন্তব্য

Beta version