-->

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধপরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধপরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো)

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এ  যুদ্ধপরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইউক্রেনে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের দ্রুত নিরাপদে ফিরিয়ে

আনতে কার্যকর উদ্যোগ নিতেও নির্দেশ দেন তিনি।

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের অংশ হিসেবে সোমবার সচিবালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।

বৈঠকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধপরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রিসভায় কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা যুদ্ধের পক্ষে কোনো কথা বলিনি। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং

ফরেন মিনিস্ট্রিসহ সংশ্লিষ্টদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পোল্যান্ড ও রোমানিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতরা যুদ্ধ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছেন এবং নিয়মিত তারা এসব বিষয় আমাদের অবগত করছেন। এর আগে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.

শাহরিয়ার আলম দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেন, আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাস করে। যত কঠিন মূহুর্ত তৈরি হোক না কেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি।

বাংলাদেশ বিশ্বাস করে এ অঞ্চলের সংকট, শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান হতে পারে। কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে পারে।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, কোনোধরনের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ও সংঘাতের সৃষ্টি হয় এমন কিছুকে সমর্থন করে না বাংলাদেশ। ইউক্রেন ইস্যুতে আমরা কারো পক্ষে-বিপক্ষে যেতে পারি না। কারণ সব দেশই

আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র। নীতিগতভাবেই এটি আমাদের অবস্থান। আশা করি কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দু'পক্ষ আলোচনা করে শান্তিপূর্ণ  সমাধানে পৌঁছাবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেন থেকে যারা ফিরতে চান সেসব বাংলাদেশির পরিচয় নিশ্চিত করবে পোল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাস। এখন পর্যন্ত ৪ শতাধিক বাংলাদেশি পোল্যান্ড, রোমানিয়া ও অস্ট্রিয়াতে পৌঁছেছেন। তাদেরকে

তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেওয়ার জন্য ইতালি ও জার্মানিতে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাস কর্মকর্তারা পোল্যান্ড দূতাবাসে গিয়ে সহযোগিতা করছেন, যাতে দ্রুত সেবা দেওয়া সম্ভব হয়।

মন্তব্য

Beta version