-->

কলকাতা বইমেলায় 'বাংলাদেশ দিবস' উদযাপন

অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা বইমেলায় 'বাংলাদেশ দিবস' উদযাপন
ছবি : বাসস

৪৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় 'বাংলাদেশ দিবস' উদযাপন করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে অগ্রসরমান বাংলাদেশকে নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে 'বাংলাদেশ দিবস' উদযাপিত হয়।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে অগ্রসরমান বাংলাদেশকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে দুই দিনব্যাপী 'বাংলাদেশ দিবস' উদযাপনের সমাপ্তি ঘটেছে ।

শুক্রবার (৪ মার্চ) বইমেলা প্রাঙ্গণে এস বি আই অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে আগ্রহ নিয়ে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের লেখক-পাঠক-প্রকাশকসহ নানা শ্রেণীপেশার মানুষ।

'বাংলাদেশ দিবস' উদযাপনের শেষ দিনে, শুক্রবার দুপুর ২ টায় অনুষ্ঠান শুরু হয় ।

‘সোনার বাংলার স্বপ্নযাত্রা : শেখ মুজিব থেকে শেখ হাসিনা’ শীর্ষক সেমিনারে মূল আলোচক ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান।

আরো আলোচনা করেন বাংলাদেশের কলাম লেখক ও গবেষক সুভাষ সিংহ রায়, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাবিদ, কবি ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক পবিত্র সরকার ও পশ্চিমবঙ্গের লেখক, ভাষা ও সমাজকর্মী ড. ইমানুল হক।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।

বিকেল ৫টায় শুরু হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইডের প্রকাশনা ‘বাংলাদেশ: সংগ্রাম, সিদ্ধি, মুক্তি’ শীর্ষক সংকলন গ্রন্থের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান।

কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় এই গ্রন্থসহ মোড়ক উন্মোচন করা হয় ‘কামাল চৌধুরীর শ্রেষ্ঠ কবিতা’, শমরিতা উর্নি গাঙ্গুলী অনূদিত কবি কামাল চৌধুরীর ‘টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে’ কাব্যগ্রন্থের অনুবাদ এবং কামাল চৌধুরীর স্মৃতিগদ্য ‘শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন’।

অধ্যাপক পবিত্র সরকারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও কবি কামাল চৌধুরী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান এবং সংসদ সদস্য আরোমা দত্ত।

স্বাগত বক্তব্য দেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈকত ভট্টাচার্য।

এছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর।

সূত্র : বাসস

মন্তব্য

Beta version