সংঘাতময় ইউক্রেনের জলসীমায় আটকেপড়া ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের সেই ২৮ নাবিক এখন রোমানিয়া থেকে দেশের পথে রয়েছেন।
রোমানিয়ায় নিযুক্ত মো. দাউদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, নাবিকদের বহনকারী বিমানটি মঙ্গলবার রাত ১২টার কিছু পরে ঢাকার উদ্দেশ্যে বুখারেস্ট ত্যাগ করে।
২৮ নাবিককে বহনকারী বিমানটির আজ বুধবার ৯ মার্চ দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতারণ করার কথা রয়েছে।
এর আগে গত রোববার ৬ মার্চ সকালে মালদোভা হয়ে রোমানিয়া পৌঁছান ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের ২৮ নাবিক।
জাহাজের তৃতীয় ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ আপাতত দেশে আসছে না। তার মরদেহ ইউক্রেনে ফ্রিজিং করে রাখা হয়েছে। সুবিধাজনক সময়ে তার মরদেহ দেশে আনা হবে।
ইউক্রেনের শেল্টার হাউজে থাকা ২৮ নাবিককে প্রথমে পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় তাদের রোমানিয়া নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়।
বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’তে গত ২ মার্চ রকেট হামলায় জাহাজের তৃতীয় ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান মারা যান। জাহাজটিতে মোট ২৯ জন বাংলাদেশি কর্মী ছিলেন। হামলায় বরগুনার হাদিসুর রহমান আরিফ মারা যান। বাকি সবাই নিরাপদে ও সুস্থ ছিলেন।
সিরামিকের কাঁচামাল ‘ক্লে’ পরিবহনের জন্য তুরস্ক থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় পৌঁছায় বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’। সেখান থেকে ইতালি যাওয়ার কথা ছিল। তবে যুদ্ধাবস্থা এড়াতে জাহাজটিকে সেখানে পৌঁছানোর পরই পণ্য বোঝাই না করে দ্রুত ফেরত আসার জন্য নির্দেশনা দেয় শিপিং কর্পোরেশন।
শেষ মুহূর্তে বন্দরের পাইলট না পাওয়ায় ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশের এই জাহাজ। এরপর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
মন্তব্য