-->
শিরোনাম

রাজনৈতিক সংলাপে যোগ দিতে ঢাকায় সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
রাজনৈতিক সংলাপে যোগ দিতে ঢাকায় সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে আগামী ১৬ মার্চ প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজনৈতিক সংলাপ। আর এ সংলাপে যোগ দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের আমন্ত্রণে দুই দিনের সফরে ঢাকা এসেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যf ৬টায় ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান পরারাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দাহিলান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর প্রসঙ্গে এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুলাইহান বলেন, ‘দ্বি-পাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশ ও সৌদি আরব অভিন্ন পথে চলছে। উভয় দেশের মধ্যে বোঝাপড়াটা বেশ ভালোই।

তিনি বলেন, ‘উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।’

তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবের উদ্যোক্তারা এখানে (বাংলাদেশ) বিনিয়োগে আগ্রহী। তারা বিনিয়োগ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ঢাকা সফরও করেছিলেন। বৈশ্বিক মহামারি বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আশাকরি, দ্রুত সময়েই সৌদি আরবের ২৩টি বড় উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান এখানে তাদের ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে হাজির হবেন।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সফরে একটি চুক্তি ও একটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। কেরানিগঞ্জে ইসলামিক আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভার্চুয়ালি ভাষা ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এছাড়া সৌদি আরবে বাংলাদেশের শ্রমবাজার, রোহিঙ্গা সংকট এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে। এ সংলাপের মধ্য দিয়ে সৌদি আরব থেকে একটি বড় বিনিয়োগ পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হতে যাচ্ছে।

সৌদি আরবের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে ৬শ’ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তেল শোধনাগার, পেট্রোকেমিক্যাল কমপ্লেক্স, এলএনজি টার্মিনাল, বিদ্যুৎকেন্দ্র, খাদ্য ও ওষুধশিল্প, সড়ক ও রেলপথ নির্মাণ, পোতাশ্রয় নির্মাণ, সামরিক ও বেসামরিক এয়ারক্রাফট রক্ষণাবেক্ষণ, যন্ত্রাংশ নির্মাণ, সার ও সৌরবিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ রয়েছে তাদের।

দীর্ঘ ছয় বছর পর সৌদি আরবের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এলেন।

এর আগে ২০১৬ সালের মার্চে তৎকালীন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল বিন আহমেদ আল যুবায়ের ঢাকা সফর করেন।

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সৌদি শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষের মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে দেশটির উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়টি গুরুত্ব পায়।

সফর শেষে বুধবার দুপুরে ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি।

মন্তব্য

Beta version