-->
শিরোনাম

স্বনির্ভর বাংলাদেশে ভূমিহীনরাও আজ স্বাবলম্বী: জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বনির্ভর বাংলাদেশে ভূমিহীনরাও আজ স্বাবলম্বী: জয়
সজীব ওয়াজেদ জয়

স্বনির্ভর বাংলাদেশে ভূমিহীনরাও আজ স্বাবলম্বী। ঘুরে দাঁড়িয়েছে অসহায় মানুষেরা। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এ মন্তব্য করেছেন।

এ সময় শেখ হাসিনার দারিদ্র বিমোচন মডেলের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

শনিবার (১৯ মার্চ) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেছেন তিনি।

জয় বলেছেন, জৈষ্ঠ্যের তাপদাহ, শ্রাবণের ঝড়োধারা, কিংবা মাঘের হাঁড় কাঁপানো শীত-পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, খোলা আকাশটাই এতদিন ছিল হতদরিদ্রদের একমাত্র ছাতা। আজ একজনের বাড়ির আঙ্গিনায়, তো কাল আরেকজনের দোকানের ঝাঁপের নিচে। কারো কারো হয়তো একটু থাকার জায়গা ছিল, কিন্তু ছিল না দুবেলা পেটপুরে অন্নের ব্যবস্থা। জোড়াতালি দেওয়া কাপড় আর অন্যের কৃপা-এভাবেই ধুঁকে ধুঁকে চলছিল অসহায় মানুষদের জীবন। তবে সেই পরিস্থিতি আজ বদলে গেছে। প্রান্তিক মানুষেরা একসময় স্বপ্নেও যা ভাবেননি, তার চেয়েও বেশি কিছু পেয়ে গেছেন তারা।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার উদ্যোগে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ ছিন্নমূল পরিবারকে জমিসহ একটি করে বাড়ি তৈরি করে দিয়েছে সরকার। শিগগিরই আরো ১ লাখ পরিবারকে ঘর হস্তান্তরের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত হওয়ার পর, তাদের উপার্জনের জন্যেও নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ব্যবস্থা।’

বাংলাদেশের উন্নয়নমুখী অবকাঠামোগত সুবিধা ব্যবহার করে স্বচ্ছল হয়ে উঠছে-একথা উল্লেখ করে স্ট্যাটাসে আরো তিনি লিখেছেন, ‘এছাড়াও বয়স্ক-বিধবা-প্রতিবন্ধী ও অসহায়দের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে সরকারি ভাতা। ফলে শ্রম-জীবন থেকে ফিরে আসছে তাদের সন্তানেরা। বিনামূল্যে শিক্ষা ও উপবৃত্তি প্রদানের কারণে এখন স্কুলমুখী হয়েছে অসহায় মানুষদের নতুন প্রজন্ম। স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে, একদম প্রান্তিক মানুষটির চোখেও উড়ছে আগামীর স্বপ্নডানা।’

স্বল্প আয়ের মানুষদের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা উল্লেখ করে জয় লিখেছেন, ‘গ্রামের কৃষক, শ্রমিক, বেকার যুবক, দরিদ্র, অসহায় ও স্বল্প পূঁজির মানুষদের সহায়তার জন্য প্রতিটি উপজেলায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক। পশুপাখি পালন, সবজি চাষ বা কৃষিকাজের জন্য জামানত ছাড়াই এখন ঋণ পাচ্ছে মানুষ। যোগাযোগ ও আর্থিক ব্যবস্থাসহ সব খাত ডিজিটাইজড হওয়ায়- সৃজন হয়েছে নতুন নতুন পেশা। ইউনিয়ন পরিষদের ইন্টারনেট সুবিধা ব্যবহার করে প্রান্তিক চাষিদের উৎপাদিক পণ্য সরাসরি গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ফলে গ্রামের একেবারে অসহায় মানুষটিও আজ ভোগ করছে প্রতিটি মৌলিক সুবিধা।’

মন্তব্য

Beta version