-->

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি- বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সর্বোচ্চ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন। তিনি সোমবার (২১ মার্চ) সকালে পটুয়াখালীর পায়রায় একটি অনুষ্ঠানে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নামফলক উন্মোচনের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব আল্ট্রা-সুপারক্রিটিকাল প্রযুক্তিসহ কয়লাভিত্তিক পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।

বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ মহামারির প্রাদুর্ভাব বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্ব থমকে দেওয়ার পর পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধনের জন্য প্রথমবারের মতো সশরীরে এই জেলা সফর করছেন শেখ হাসিনা।

পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার অন্তর্গত রামনাবাদ নদীর পাশে ২ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে ১ হাজার একর জমিতে নির্মিত হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বের ১৩তম দেশে পরিণত হয়েছে।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ৬৬০ মেগাওয়াট ইউনিট ২০২০ সালের মে মাসে বাণিজ্যিকভাবে চালু হয় এবং পরে ৪০০ কেভি পায়রা-গোপালগঞ্জ পাওয়ার ট্রান্সমিশন ব্যবহার করে এবং দ্বিতীয়টি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে উৎপাদন শুরু করে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটি তৈরি করেছে বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি (বিসিপিসিএল) চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন (সিএমসি) এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) এর মধ্যে ৫০:৫০ যৌথ উদ্যোগে।

বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড এবং এনইপিসি এবং সিইসিসি-এর কনসোর্টিয়াম পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়নের জন্য ২০১৬ সালের ২৯ মার্চ ইপিসি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার সকালে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন হেলিপ্যাডে পৌঁছালে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী পরে কয়লা জেটিতে পৌঁছানোর সঙ্গেসঙ্গে বিভিন্ন রঙে সজ্জিত ২০০ জেলে সুসজ্জিত নৌকা থেকে পতাকা উড়িয়ে ও গান বাজিয়ে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান। পর্যটন স্পট কুয়াকাটা থেকে পায়রা পাওয়ার প্লান্ট এবং এর আশপাশের এলাকাগুলোতে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ বিরাজমান ছিল।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, বিসিপিসিএল’র মহাপরিচালকসহ অন্যান্যরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী এএম খুরশিদুল আলম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অগ্রগতির ওপর একটি অডিও ভিডিও উপস্থাপন এবং পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ওপর তথ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীকে একটি স্মারক চিহ্ন উপহার দেয়। এসময় শেখ হাসিনাকে উৎসর্গ করে ‘ও জোনাকি কি সুখে ওই ডানা দুটি মিলেছ’ গান বাজানো হয়।

সূত্র: বাসস

মন্তব্য

Beta version