-->

পুলিশের এভিয়েশন উইংয়ে পাইলট হিসেবে যোগ দিচ্ছেন ৪ এএসপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
পুলিশের এভিয়েশন উইংয়ে পাইলট হিসেবে যোগ দিচ্ছেন ৪ এএসপি
আইজিপির সাথে পুলিশের এভিয়েশন উইংয়ে চার পাইলট

বাংলাদেশ পুলিশের এভিয়েশন উইংয়ে পাইলট হিসেবে যোগ দিচ্ছেন চার জন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি)।

আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, এভিয়েশন উইং চালুর ফলে বাংলাদেশ পুলিশ ত্রিমাত্রিক ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করবে। বাংলাদেশ পুলিশের নবগঠিত এভিয়েশন উইং দুর্গম অঞ্চলে দ্রুত যোগাযোগ, গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনা, তল্লাশি অভিযান এবং উদ্ধার কার্যক্রমে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশ পুলিশের এভিয়েশন উইং চালুর অনুমতি প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন করেন তিনি।

সোমবার (২১ মার্চ) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে আর্মি এভিয়েশন গ্রুপের গ্রুপ কমান্ডার মেজর জেনারেল আই কে এম মোস্তাহসিনুল বাকীর নেতৃত্বে আর্মি এভিয়েশন স্কুলের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন আইজিপি।

পুলিশ প্রধান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের নবগঠিত এভিয়েশন উইংয়ের পাইলটদের প্রশিক্ষণ প্রদানের ক্ষেত্রে আর্মি এভিয়েশন স্কুল বিশেষ ভূমিকা রাখছে‌।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ করে সেনাবাহিনীর পেশাগত সুসম্পর্ক ও সহযোগিতা রয়েছে। আগামীতে এ ধরনের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো বাড়বে এবং সুসংহত হবে।

আইজিপি বলেন, দেশের যেকোনো প্রয়োজন ও সংকটে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ পুলিশ একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার সুদীর্ঘ ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে।

নিরাপত্তাকে অক্সিজেনের সঙ্গে তুলনা করে আইজিপি বলেন, অক্সিজেন ছাড়া যেমন মানুষ বাঁচতে পারে না তেমনি নিরাপত্তা ছাড়া একটি সমাজ বা রাষ্ট্র কল্পনা করা যায় না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ দেশের ১৮ কোটি জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে নিয়োজিত রয়েছে। দেশের প্রয়োজনে, জনগণের প্রয়োজনে যখন যা করা দরকার তাই করা হবে বলে।

এ সময় আর্মি এভিয়েশন গ্রুপের গ্রুপ ক্যাপ্টেন বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের প্রশিক্ষণার্থীরা অত্যন্ত আগ্রহ, আন্তরিকতা নিয়ে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করছে। তারা যোগ্য পাইলট হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারবেন।

আর্মি এভিয়েশন স্কুলে হেলিকপ্টার চালনায় বর্তমানে বিভিন্ন বাহিনীর দশ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করছেন। এর মধ্যে চার জন বাংলাদেশ পুলিশের। পুলিশের প্রশিক্ষণার্থী এএসপি ফাতেমা তুজ জোহরা সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। পুলিশের চার জন প্রশিক্ষণার্থীই ইতোমধ্যে তাদের একক উড্ডয়ন সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। তারা পাইলট হিসেবে পুলিশের এভিয়েশন উইংয়ে যোগ দেবেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ডিআইজি (লজিস্টিকস) মো.তওফিক মাহবুব চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। প্রশিক্ষণের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা তুলে ধরে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন সহকারী পুলিশ সুপার ফাতেমা তুজ জোহরা।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত আইজিরা এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

Beta version