করোনার আগে পরে বাহরাইন থেকে বাংলাদেশে ছুটিতে আসা কর্মীরা দেশটিতে ফিরতে পারছেন না। এর মধ্যে অনেকেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এমন প্রায় এক হাজার কর্মীকে পুনরায় দেশটিতে প্রবেশের জন্য সহযোগিতা চেয়ে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ।
সোমবার (২১ মার্চ) বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. নজরুল ইসলাম দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল লতিফ বিন রাশিদ আল জায়ানির সঙ্গে সাক্ষাতে গিয়ে এ সহযোগিতা চান।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত সাধারণ জনগণ, সরকারি কর্মকর্তা, এমনকি কূটনীতিকসহ তাদের পরিবার ভিসা পেতে জটিলতা হচ্ছে মর্মে উল্লেখ করে বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, রাষ্ট্রদূতের অনুরোধের প্রেক্ষিতে বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়টি নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে ফলপ্রসূ সিদ্ধান্তের আশ্বাস দেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসের জন্য স্থায়ী ভূমি বরাদ্দ চেয়েছেন রাষ্ট্রদূত। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার কথা জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় রাষ্ট্রদূত ঢাকায় বাহরাইনের দূতাবাস স্থাপনের আহ্বান জানান।
উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক এবং অফিসিয়াল পর্যায়ে ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তিরও প্রস্তাব দেন ড. মো. নজরুল ইসলাম।
এ সময় বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন তিনি। বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমন্ত্রণপত্রটি গ্রহণ করেন এবং শিগগিরই ঢাকা সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
২০১৫ সালে বাংলাদেশ ও বাহরাইনের মধ্যে 'ফরেন অফস কনসালটেন্ট' (এফওসি) নিয়ে স্বাক্ষরিত এমওইউয়ের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত দু’দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াসহ সকল ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তিনি বলেন, ঢাকা প্রথম এফওসি আয়োজনে বেশ আগ্রহী এবং এর প্রস্তুতি হিসেবে দু’দেশের সচিব পর্যায়ে সফর হতে পারে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
মন্তব্য