.jpg)
আবাসিক খাতে প্রাকৃতিক গ্যাসের মাসিক বিল দুই চুলার ক্ষেত্রে ১ হাজার ৮০ টাকা এবং এক চুলার ক্ষেত্রে ৯৯০ টাকা করার সুপারিশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এর কারিগরি কমিটি এই সুপারিশ করেছে।
বুধবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন অডিটোরিয়ামে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের শুনানিতে এ সুপারিশ করা হয়। শুনানির তৃতীয় দিনে বুধবার সকাল ১০টা থেকে প্রস্তাবনার ওপর শুনানি করে তিতাস।
ওই শুনানিতে বিইআরসি ও তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তা এবং বিইআরসি আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
শুনানিতে তিতাস গ্যাসের পক্ষ থেকে গ্রাহক পর্যায়ে মিটারভিত্তিক চুলার জন্য প্রতি ঘনমিটার ২৭ টাকা ৩৭ পয়সা প্রস্তাব করা হয়। যার বর্তমান মূল্য ১২ টাকা ৬০ পয়সা। এ প্রস্তাবের বিপরীতে ভোক্তা পর্যায়ে মিটারভিত্তিক চুলার জন্য প্রতি ঘনমিটার ১৮ টাকা করার সুপারিশ করেছে কারিগরি কমিটি।
অন্যদিকে মিটারবিহীন ২ চুলার জন্য মাসিক বিল ২ হাজার ১০০ টাকা ও ১ চুলার জন্য ২ হাজার টাকা প্রস্তাব করে তিতাস। এ প্রস্তাবের বিপরীতে মিটারবিহীন ১ চুলার জন্য ৯২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা ও দুই চুলার জন্য ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮০ টাকা সুপারিশ করা হয়।
আবাসিক খাতে গ্যাসের মূল্য ১১৭ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করে গ্যাস বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৪ দিনের গণশুনানি আহ্বান করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
তিতাস গ্যস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লা বলেছেন, তিতাসের অধীনস্থ এলাকা অনেক বড়। এত বড় এলাকায় গ্যাসের পাইপলাইন পাহারা দেওয়া কঠিন। একদিকে আমরা অবৈধ লাইন কেটে আসি, আরেকদিকে আবার লাগিয়ে দেওয়া হয়। এ জন্য আমরা সবার সহযোগিতা চাচ্ছি।
তিনি জানান, গত ডিসেম্বর মাসে ২৩ হাজার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। একইভাবে জানুয়ারিতে ১৮ হাজার, ফেব্রুয়ারিতে ৩৩ হাজার এবং মার্চে ২৫ হাজার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। চুরি ঠেকাতে আমরা প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজও করে যাচ্ছি।
মন্তব্য