-->

স্ক্যান্ডিনেভিয়ার তিন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো বাড়াতে চান প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্ক্যান্ডিনেভিয়ার তিন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো বাড়াতে চান প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করেন তিন দেশের রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশ ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ার ৩টি দেশের মধ্যে নতুন খাতগুলোতে সহযোগিতার মাধ্যমে কৌশলগত স্তরে সম্পর্ক জোরদারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের দেশ নরওয়ে, ডেনমার্ক ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূতরা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বুধবার (২৩ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতদের বলেন, ‘সম্ভাব্য সব খাতে কৌশলগত যোগাযোগের লক্ষ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে উভয়পক্ষেই সহযোগিতার নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’

নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এস্পেন রিক্টার-ভেনসেন, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসন ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজেন্ড্রা বার্গ ভন লিন্ডে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।

এ সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম গণমাধ্যমকে বৈঠকের বিষয়ে জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বিগত ৫০ বছর ধরে স্ক্যান্ডিনেভিয় তিনটি দেশ আমাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।

এ সময় শেখ হাসিনা মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশের সমর্থনে এই তিনটি স্ক্যান্ডিনেভিয় দেশের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা এবং যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশটি পুনর্গঠনে তাদের সাহায্য ও সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন।

এ সময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর কিভাবে এ দেশের গণতন্ত্র খর্ব করা হয়েছিল- সে ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতদের অবহিত করেন।

তিনি আরো বলেন, সামরিক শাসকরা গণতন্ত্রকে বিঘ্নিত করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে গ্রামকেন্দ্রিক উন্নয়ন ও সকলের কাছে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেয়।

এ সময় কূটনৈতিকরা বাংলাদেশ ও স্ক্যান্ডিনেভিয় দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।

তারা বলেন, তাদের দেশ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।

তারা বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে সামাজিক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।

কূটনৈতিকগণ ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বাড়ি করে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে বাড়ি উপহার দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

নরওয়ের রাষ্ট্রদূত ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশে গ্রামীণফোনকে অপারেট করতে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী জবাবে বলেন, ওই সময়ে তিনি টেলিযোগাযোগকে বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দেন। আর এর ফলে এখন সাধারণ মানুষও এই সেবা পাচ্ছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

Beta version