প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও জলদস্যু দমন এবং মাদক নির্মূলসহ সব ধরনের অপরাধ দমনে র্যাবের ভূমিকা প্রশংসনীয়। সোমবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব সদরদপ্তরে বাহিনীটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে একথা বলেন তিনি।
দেশের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে গঠিত চৌকস এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র্যাব) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল গত শনিবার (২৬ মার্চ)। তবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন করা হচ্ছে আজ সোমবার। এ উপলক্ষে এদিন সকাল ১০টায় সদরদপ্তরের শহীদ লে. কর্নেল আজাদ মেমোরিয়াল হলে বিশেষ দরবার শুরু হয় ‘নিরাপত্তা রক্ষায় গণমানুষের আস্থা’ স্লোগানে।
মাদক নির্মূলের প্রসঙ্গ টেনে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আইনশৃংখলা বাহিনী মাদক প্রবেশের পথগুলো চিহ্নিত করে তা নির্মূলে প্রতিনিয়ত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, বিশেষ অভিযান ছাড়া প্রায় সব ধরনের অপরাধমূলক ঘটনায় সবার আগে র্যাব ভিকটিমের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। এতে করে খুব সহজেই মানুষের জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে র্যাব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ নিয়ে তৈরি র্যাব আজ দেশে সব ধরনের অপরাধ দমনে সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
র্যাব মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সভাপতিত্বে দরবারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। এছাড়া বিভিন্ন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন দরবারে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এই বাহিনী ২০০৪ সালে স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে অংশ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে। ওই বছরের ২৬ মার্চ প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিবছর দিনটিকে ‘রেইজিং ডে’ হিসেবে পালন করে আসছে বাহিনীটি।
মন্তব্য