রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ২০২২ সালের জন্য ৮৮ কোটি ইউএস ডলারের তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জাতিসংঘের জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান (জেআরপি) এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এ তথ্য জানায়।
২০২১ সালে এই লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৫ কোটি ডলার।
এ বাজেটে প্রথমবারের মতো জেআরপিতে ভাসানচরের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভাসানচরে স্বেচ্ছায় এখন পর্যন্ত ২৪ হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করেছে বাংলাদেশ সরকার।
বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে ২০২২ সালের জেআরপি অনুযায়ী দেশি বিদেশি মিলিয়ে ১৩৬টি সংস্থা কাজ করবে। সংগ্রহকৃত অর্থ ব্যয় করা হবে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাসস্থান ও জীবিকা নির্বাহে তাদের দক্ষতা তৈরির পেছনে।
কক্সবাজার ও ভাসানচরে অবস্থিত প্রায় ৯ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশেপাশে থাকা প্রায় ৫ লাখ ৪০ হাজার বাংলাদেশি মিলিয়ে মোট প্রায় ১৪ লাখ মানুষের সহায়তার জন্য ৮৮ কোটি ডলার তহবিল চাওয়া হচ্ছে। এজন্য দাতা গোষ্ঠীগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে জেআরপি।
তবে ২০১৮ সাল থেকে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও গত পাঁচ বছরে কখনো ৬৫ শতাংশের বেশি অর্থের যোগান দিতে পারেনি দাতা গোষ্ঠীগুলো।
মন্তব্য