চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভাসানচরে ইউএনএইচসিআর ও ডাব্লিউএফপির কার্যক্রম সমর্থনে দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন করেছে জাপান। ভাসানচরে আরো কীভাবে সহায়তা দিতে পারে জাপান সরকার, সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ভাসানচর দ্বীপ পরিদর্শন করেছেন।
বুধবার (৬ এপ্রিল) ঢাকার জাপান দূতাবাস এসব তথ্য জানিয়েছে।
জাপান দূতাবাস জানায়, ভাসানচর পরিদর্শনকালে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগ দেন জাইকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইউহো হায়াকাওয়া। সেখানে ২৫ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাস করছেন।
জাপানি রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল হাসপাতাল, খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র, জীবিকা প্রকল্প, বাঁধ, শিক্ষা কেন্দ্র এবং নারী ও শিশুদের জন্য তৈরি কমিউনিটি সেন্টার পরিদর্শন করেন।
রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি আর্থিক ও সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও উদ্বাস্তুদের সেবা প্রদানের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা, এনজিও, নৌবাহিনী এবং বাংলাদেশ সরকারের নিবেদিত কাজের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ভাসানচরে বাংলাদেশ সরকার খুব ভালো সুযোগ-সুবিধা প্রদান ও অবকাঠামো গড়ে তুলেছে। চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরে উদ্বাস্তুদের নিয়ে যাওয়ার সময় এবং দ্বীপে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলার সময় আমি জানতে পারলাম, তারা উন্নত জীবন-জীবিকার সুযোগ এবং নিরাপত্তার জন্য কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত হয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপানের প্রাথমিক দুই মিলিয়ন ডলারের তহবিল এবং অন্যান্য দাতাদের সহযোগিতা সত্ত্বেও আরো মানবিক পরিষেবার জন্য অতিরিক্ত অর্থায়ন প্রয়োজন বলে মনে হচ্ছে। আমি আশা করি দ্বীপের শরণার্থীদের আরো সহায়তা প্রদানের পথ প্রসারিত হবে। এ লক্ষ্যে জাপান জাতিসংঘ এবং এনজিওগুলোকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
ইতো নাওকি বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টার পাশাপাশি কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের উন্নত জীবনযাত্রার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে আরো সহযোগিতা করবে জাপান। এই সংকটের দীর্ঘস্থায়ী সমাধান খোঁজা ‘মুক্ত এবং উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক’র জন্য সহায়ক হবে।
মন্তব্য