মেক্সিকোর পার্লামেন্টের ডেপুটি রোজালিনা দমিঙ্গুজ ফ্লোরেস এমপিকে সভাপতি করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট মেক্সিকো-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠন করা হয়েছে, যা বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যকার ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) মেক্সিকোয় বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, গতকাল বুধবার (৬ এপ্রিল) মেক্সিকো-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মেক্সিকোর পার্লামেন্টের ডেপুটি রোজালিনা দমিঙ্গুজ ফ্লোরেস তার বক্তব্যে দুই দেশের মধ্যকার সাদৃশ্যের কথা উল্লেখ করেন এবং সংস্কৃতি, অর্থনীতি, পরিবেশ, শিল্প, প্রযুক্তি এবং রাজনীতির ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
মেক্সিকোয় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার বক্তব্যে এই উদ্যোগের জন্য মেক্সিকোর পার্লামেন্টকে ধন্যবাদ জানান এবং শিগগিরই বাংলাদেশের সংসদ কর্তৃক বাংলাদেশ-মেক্সিকো সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করার আশা প্রকাশ করেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ও মেক্সিকো বিশ্বের ৩.৮ শতাংশ জনগণকে ধারণ করে। সেই কারণে উভয় দেশের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এমন একটি প্লাটফর্ম গড়ে তোলা যেতে পারে, যা শক্তিশালী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
পরে সংসদীয় ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের সদস্য ও আইনপ্রণেতা মার্থা অ্যালিসিয়া আরেওলা মার্টিনেজ, মার্কোস রোসেন্দো মেদিনা ফিলিগ্রানা, হোয়ানিতা গেররা মেনা এবং সান্তিয়াগো তোরেব্লাঙ্কা এঙ্গেল বক্তব্য রাখেন। তারা তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক সৃষ্টির ওপরে গুরুত্ব দেন, যার ভিত্তি হবে সংহতি ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ।
তারা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, পর্যটন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং নারীর ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত বিষয় একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক ভ্লাদিমির কার্লোস রুবিও তার বক্তব্যে বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান এবং মেক্সিকো-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপকে মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
মেক্সিকোর পার্লামেন্টের ডেপুটি রোজালিনা ডোমিংগেজ ফ্লোরেসের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এবং গঠনমূলক আইনে স্বাক্ষর ও সংসদের বিশেষ পরিদর্শক বইয়ে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
মন্তব্য