মুন্সীগঞ্জে ‘ধর্ম অবমাননার’ অভিযোগে গ্রেপ্তার স্কুলশিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের প্রতি অবিচার করা হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, তার সঙ্গে কেন এমন হল তা তদন্ত করা হচ্ছে।
শনিবার (৯ এপ্রিল) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ইফতার মাহফিলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কে হিন্দু, কে মুসলিম সেটা বিষয় নয়। সবাই আমাদের কাছে সমান। স্কুলশিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের প্রতি অবিচার করা হবে না। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যা যা করা প্রয়োজন তাৎক্ষণিকভাবে করা হয়েছে।
দেশের শান্তি ও কল্যাণ কামনার মধ্য দিয়ে পালিত হয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরে উপস্থিত হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়ে সম্মেলন কক্ষে নিয়ে যান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন।
এরপর সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্যে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন সকলকে স্বাগত জানান এবং ইফতার ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করায় মন্ত্রী, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব এবং অভ্যাগত অতিথিবৃন্দের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্যের পর ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ইফতারের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন এবং তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
উল্লেখ্য, ফায়ার সার্ভিসের সকল বিভাগ ও জেলা অফিসসমূহেও একইভাবে ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের নিজস্ব মসজিদগুলোতে ইফতার শেষে মোনাজাতে ফায়ার সার্ভিসসহ সারা দেশের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করা হয়। সদর দপ্তর মসজিদে দোয়া পরিচালনা করেন ফায়ার সার্ভিসের ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা মো. খালেদ আহসান। মোনাজাতে জাতির পিতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহীদ, বঙ্গমাতা ফজিলাতুননেসা মুজিব ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ, অপারেশনাল কাজে আত্মবিসর্জন দেওয়া ফায়ারফাইটার সোহেল রানা ও আব্দুল মতিনসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আমন্ত্রিত অতিথিরা এবং ইফতার মাহফিলে উপস্থিত গণমাধ্যমের কর্মীরা দোয়ায় অংশ নেন।
উল্লেখ করা যেতে পারে, ১৯৮১ সালের ৯ এপ্রিল তৎকালীন ফায়ার সার্ভিস পরিদপ্তর, সিভিল ডিফেন্স পরিদপ্তর এবং সড়ক ও জনপথের রেসকিউ ইউনিটের সমন্বয়ে পুনর্গঠিত হয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ইফতার ও দোয়া মাহফিলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সুরক্ষা সেবা বিভাগ এবং এর অধীন দপ্তরসমূহের প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং অন্য ঊধর্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ফায়ার সার্ভিসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন এবং প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
মন্তব্য