-->
শিরোনাম

আইটিইউ নির্বাচনে বাংলাদেশের সমর্থন চেয়েছে জাপান

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
আইটিইউ নির্বাচনে বাংলাদেশের সমর্থন চেয়েছে জাপান
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে তার দফতরে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।

আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় আইটিইউ নির্বাচনে টেলিকমিউনিকেশন্স স্ট্যান্ডারাইজেশনের পরিচালক পদে বাংলাদেশের কাছে সমর্থন চেয়েছে জাপান।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে তার দফতরে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূতইতো নাওকি এ সমর্থন চান।

রাষ্ট্রদূত আইটিইউ নির্বাচনে টেলিকমিউনিকেশন্স স্ট্যান্ডারাইজেশনের পরিচালক পদে জাপানের প্রার্থিতার বিষয়ে জাপানের ইন্টারন্যাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স মন্ত্রী কানেকো’র একটি চিঠি মন্ত্রীকে হস্তান্তর করেন।

জাপানের প্রার্থিতার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় কাজ করবে বলে জানান মোস্তাফা জব্বার।

১৯৭৩ সালে আইটিও সদস্যপদ অর্জনের পর বৈশ্বিক টেলিযোগাযোগ এই ফোরামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশ।

বৈঠকে তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি বিশেষ করে ফাইভ-জিসহ ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে মতবিনিময় করেন।

জাপান বাংলাদেশের এক অকৃত্রিম বন্ধু উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামো উন্নয়নে জাপান বাংলাদেশের বড় অংশীদার।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধারণার বিপরীতে জাপানের সোসাইটি ফাইভ-পয়েন্ট জিরো ধারণাটিকে খুবই মানবিক উল্লেখ করে বলেন, জাপান প্রথম মানুষকে গুরুত্ব দিয়েছে এবং পরে যন্ত্রকে। আমরাও মনে করি, প্রযুক্তি মানুষের বিকল্প হতে পারে না।

জাপান বিশ্বে প্রথম ফাইভ-জি প্রবর্তন করেছে, বাংলাদেশেও ফাইভ-জি প্রযুক্তি যুগে প্রবেশ করেছে। ফাইভ-জির আইটিইউ স্ট্যান্ডারাইজেশনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গোটা দুনিয়াকে বদলে দিতে ভূমিকা রাখবে। জাপান এ ব্যাপারে বড় ভূমিকা রাখবে বলে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মন্তব্য

Beta version