বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক নতুন মোড় নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। গতকাল রোববার (২৪ এপ্রিল) 'বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক: জোরদার সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব স্থাপন' শীর্ষক সেমিনারে একথা জানান তিনি।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, 'গত ৫০ বছরে আমরা আমাদের সংস্কৃতি, জনগণ ও আমাদের অর্থনীতিকে সম্পৃক্ত করে একসঙ্গে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরি করেছি।'
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এ সেমিনার আয়োজন করে।
পিটার হাস বলেন, 'আমাদের সম্পর্ককে বাংলাদেশ যত দ্রুত প্রসারিত ও গভীর করতে চাইবে, যুক্তরাষ্ট্রও তত দ্রুত এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। তবে ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ্য করলে আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে পরিবর্তন আসবে।'
কারণটা সহজ উল্লেখ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, 'বদলে গেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতিগুলোর একটি। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা উত্তীর্ণ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং মধ্যম আয়ের মর্যাদা অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই পরিবর্তন এক গতিশীল নতুন সম্পর্ক নির্দেশ করে।’
পিটার হাস বলেন, ‘সহজ কথায়, বড় বড় অর্থনীতি ও আঞ্চলিক পর্যায়ে নেতৃত্বশীল দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতি পরিচালনা করে ভিন্নভাবে। সম্পর্ক বাড়ার সঙ্গেসঙ্গে সংলাপও প্রসারিত হয়। আমাদের দুদেশের সরকার সম্প্রতি অংশীদারিত্ব সংলাপ, দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা সংলাপ এবং ওয়াশিংটনে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী সপ্তাহগুলোতে আমরা আরো দুটি সংলাপ আয়োজন করব। সেগুলো হবে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সংলাপ এবং উচ্চপর্যায়ের অর্থনৈতিক মতবিনিময়। এ ধরনের সংলাপের মাধ্যমে আমাদের সম্পর্ক বিকশিত ও জোরদার করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এবং আরো অনেক নতুন সুযোগ উন্মোচিত হবে। তবে আমাদের নিজ নিজ সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, শুধু কথায় আটকে না থেকে কীভাবে সেগুলোকে কাজে পরিণত করা সম্ভব।’
মন্তব্য