বাংলাদেশ-নরওয়ের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার (২৫ এপ্রিল) নরওয়ে দূতাবাসে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এ সময় এলডিসি উত্তরণে নরওয়ের সমর্থন চেয়েছেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের পারস্পরিক স্বার্থে যেমন: লজিস্টিক, শিপিং, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা, নবায়নযোগ্য শক্তি, বাড়ি নির্মাণ সামগ্রী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে নরওয়ের বর্ধিত উপস্থিতি দেখতে চাই।
নরওয়েকে ব্লু-ইকোনমিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশকে গবেষণা ও উদ্ভাবনের সম্ভাব্য অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং নরওয়ে উভয় দেশই বহুপাক্ষিকতার একনিষ্ঠ সমর্থক এবং পররাষ্ট্রনীতির স্বাধীনতা বজায় রাখে। ক্রমবর্ধমান অস্থির বিশ্বব্যবস্থার মধ্যে শান্তি-কূটনীতির অন্বেষণে ঢাকা নরওয়ের একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার।
ড. মোমেন বলেন, নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক প্রচারণায় বাংলাদেশ নরওয়ে এবং অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। বাংলাদেশ ও নরওয়ে আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় উভয় প্রেক্ষাপটে নারীর ক্ষমতায়নে এগিয়ে যাচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ঢাকায় সফররত নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানেকিন হুইটফেল্ডের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং সামুদ্রিক খাতে সহযোগিতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব আরও সম্প্রসারিত করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারা বিশেষ করে 'অফশোর' নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানেকিন হুইটফেল্ট জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে হংকং কনভেনশন অনুসমর্থনের বিষয়ে বাংলাদেশের পরিকল্পনার বিষয়ে খোঁজ নেন তিনি।
মন্তব্য