একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং জাতীয় সংসদের আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক ককাসের যৌথ উদ্যোগে গঠিত ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন’ কর্তৃক প্রকাশিত শ্বেতপত্রের কপি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আগামীকাল বুধবার উভয় প্রতিষ্ঠানে শ্বেতপত্র জমা দেয়ার কথা রয়েছে।
এ উপলক্ষে নির্মূল কমিটির পক্ষ ঘেকে মঙ্গলবার (১০ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং জাতীয় সংসদের আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক ককাসের যৌথ উদ্যোগে গঠিত ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন’ সম্প্রতি ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন’ শীর্ষক শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। যার পৃষ্ঠা সংখ্যা ২১০০-এর অধিক।
গত ১২ মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আনুষ্ঠানিকভাবে এই শ্বেতপত্রের মোড়ক উন্মোচন করেছেন।
‘এই শ্বেতপত্রের কপি হস্তান্তর করবেন গণকশিনের চেয়ারপার্সন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের প্রাক্তন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সদস্য শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মোহাম্মদ নুরুল আনোয়ার (প্রাক্তন আইজিপি), সদস্য সচিব ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ, কমিশনের সচিবালয়ের সমন্বয়কারী কাজী মুকুল, সদস্য শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময় ও ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী।
বিবৃতিতে নির্মূল কমিটি উল্লেখ করে-‘আমরা মনে করি স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের আর্থিক দুর্নীতি অনুসন্ধানে আমাদের শ্বেতপত্র ‘দুদক’-এর তদন্তে সহায়ক হবে। এছাড়া এই শ্বেতপত্র স্বাধীনতাবিরোধী ও ধর্মান্ধদের সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অনুসন্ধান এবং এর উদ্দেশ্য অনুধাবনে আমাদের শ্বেতপত্র জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সহায়তা করবে।’
মন্তব্য