চলতি বছর হজে গমনেচ্ছুকদের পাসপোর্টের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকতে হবে। অন্যথায় নতুন পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সৌদি সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী ২০২২ সালে হজযাত্রীদের পাসপোর্টে হজযাত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ) সঠিকভাবে উল্লেখ রয়েছে কি-না তা নিশ্চিত করতে হবে। সে লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনাধীন ২০২০ সালে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে যাদের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে অথবা পাসপোর্ট পরিবর্তন করা হয়েছে, তাদের পাসপোর্টের তথ্য হালনাগাদে নিম্নলিখিত করণীয়সমূহ অনুসরণ করতে হবে।
সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের করণীয়:
১.সরকারি নিবন্ধিত হজযাত্রীরা নিবন্ধন পয়েন্ট/ কেন্দ্রের মাধ্যমে (পাসপোর্ট চেঞ্জ অপশন ব্যবহার করে) পাসপোর্ট পরিবর্তনের আবেদন এবং তথ্য হালনাগাদ করতে হবে।
২. প্রাক-নিবন্ধনে মনোনীতদের আগামী ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মেয়াদ সংবলিত হালনাগাদ পাসপোর্টসহ নিবন্ধন পয়েন্ট/ কেন্দ্রের মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
বেসরকারি হজযাত্রী ও সংশ্লিষ্ট এজেন্সির করণীয়:
১. বেসরকারি ব্যবস্থাপনাধীন বিদ্যমান নিবন্ধিত হজযাত্রীরা স্ব-স্ব এজেন্সির মাধ্যমে আগামী ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মেয়াদ সংবলিত পাসপোর্টের তথ্য হালনাগাদের আবেদন করবেন।
উল্লেখ্য, সময় স্বল্পতার দরুণ এজেন্সিভিত্তিক হজযাত্রীর সংখ্যা নির্ধারণের সুবিধার্থে পাসপোর্টের মেয়াদ জটিলতাজনিত কারণে হজযাত্রীর প্যাকেজ স্থানান্তর/নিবন্ধন স্থানান্তর কার্যক্রম ব্যহত হবে না।
২.হজযাত্রীর ভিসাযুক্ত পাসপোর্টের পিছনে মোয়াল্লেম নম্বর, মক্কা/মদিনার আবাসনের ঠিকানা সংবলিত প্রিন্টেড ষ্টিকার সংযুক্ত করতে হবে।
প্রিন্টেড ষ্টিকার সংযুক্ত করা সম্ভব না হলে কমপক্ষে হাতে লেখা উক্ত তথ্য সংযুক্ত করতে হবে।
অন্যথায় সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীদের জেদ্দা/মদিনা বিমানবন্দর হতে সৌদি কর্তৃপক্ষ দেশে ফেরত পাঠাতে পারে এবং সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে হজ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি বাতিল হতে পারে।
এছাড়া হজে যাওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে যেকোন হালনাগাদ তথ্য পেতে নিয়মিত www.hajj.gov.bd ওয়েবসাইটটি দেখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মন্তব্য