স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, গণকমিশন নামে কোনো সংগঠনের ভিত্তি নেই। গণকমিশনের নামে কেউ বিশৃঙ্খলা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার (২০ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের ২৭তম বার্ষিক সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গণকমিশন কী লিখেছে আমি জানি না। তারা যাদের নামে সন্ত্রাস কিংবা দুর্নীতির দায়ভার দিচ্ছে সেটা আমরা দেখিনি, তাই এর সম্পর্কে কিছু বলতে পারব না।
নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করলে কঠোর ব্যবস্থার কথা উল্লেখ তিনি বলেন, আমার নামে চাঁদাবাজি করবে কেন? আমার নামে যে বা যারা চাঁদাবাজি করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
তিনি আরো বলেন, আইনের চোখে সবাই সমান। যে অপরাধ করবে তাকেই শাস্তি পেতে হবে। যে আমার নামে চাঁদাবাজি করতে গিয়েছিল তাকে ধরা হয়েছে, তার কাছে একটি অস্ত্র পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি ১১৬ ধর্মীয় বক্তার একটি তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে গঠিত মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গঠিত গণকমিশন। দুদক চেয়ারম্যানের কাছে দেওয়া ২২শ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে ধর্মীয় বক্তাদের নাম প্রকাশ করা হয়। এদের বিরুদ্ধে জঙ্গি অর্থায়ন ও ওয়াজের মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিযোগ আনে গণকমিশন।
সে সময় গণকমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, আমরা নয় মাস তদন্ত করেছি। বহু ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য নিয়েছি। দুদক চেয়ারম্যান আমাদের জানিয়েছেন অর্ধশতাধিক ওয়াজ ব্যবসায়ীর দুর্নীতির খোঁজ শুরু করেছেন।
গণকমিশনের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ও হেফাজতের কর্মকাণ্ড উঠে এসেছে। তাদের অর্থনৈতিক জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে বলে প্রত্যাশা করছি।
মন্তব্য