-->
শিরোনাম

আগামী বছরের জুনের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী বছরের জুনের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার
রুটে ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন (ফাইল ফটো)

আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

এ ছাড়া আগামী পহেলা জুন থেকে ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি রুটের মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন যাতায়াত শুরু করবে বলে জানান তিনি।

গতকাল রোববার রেলভবনের সম্মেলন কক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে ব্রিজ কনস্ট্রাকশন প্রজেক্টের সিগনালিং এবং টেলিকমিউনিকেশন কাজের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং ইয়াসিমা-জিএসই জয়েন্ট ভেঞ্চারের মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির, রেলের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান রিপ্রেজেন্টেটিভ হায়াকাওয়া ইউহো প্রমুখ।

বঙ্গবন্ধু সেতুতে রেলের যে গতি তা পূর্ণাঙ্গভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে মাত্র ২০ কিলোমিটার বেগে আমাদের যেতে হয়।

একই সঙ্গে রেলের ওজনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আছে ওই সেতুতে। যার ফলে ডাবল ডুয়েল গেজ লাইন দিয়ে আমাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে ব্রিজ করতে হচ্ছে।

রেলমন্ত্রী বলেন, কমলাপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত আমাদের ডাবল লাইন ছিল, সেটি এখন থার্ড লাইন করা হচ্ছে। টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ছিল সেটি ডাবল লাইন করা হচ্ছে।

জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডাবল ডাবল লাইন করার কাজ আমাদের হাতে আছে। যেসব জায়গায় আমাদের ট্রাফিক বেশি এবং সিঙ্গেল লাইন সেসব জায়গায় আমরা এখন ডাবল লাইন করছি।

পূর্বাঞ্চলে যে মিটার গেজ লাইন চলছে সেগুলো আমরা ব্রডগেজে রূপান্তর করছি।

ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত আমাদের যে রেললাইন সেটিরও কাজ এগিয়ে চলছে। আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যশোর পর্যন্ত আমরা ট্রেন চালাতে পারব।

কয়েকদিন ধরে রেলের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের যোগাযোগে সাড়া দিচ্ছে না এ বিষয়ে রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, কোথায় ব্যত্যয় হচ্ছে এ বিষয়টি আমি দেখব।

নরমালি যারা কাজ বাস্তবায়ন করে তারা বিশেষ তথ্য ছাড়া কথা বলতে চান না। কাজেই মন্ত্রী হিসেবে আমারই দায়িত্ব সঠিক তথ্যগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরা। এ কারণে অফিসিয়াল যারা আছেন তারা নরমালি সামনে আসতে চান না।

নুরুল ইসলাম সুজন আরো বলেন, রেলওয়েতে আমরা কী কাজ করছি সেটা দেশের ১৬ কোটি মানুষ জানে। তবে রেলে আমরা কী করছি, সরকার কী করছে যা সাংবাদিকদের মাধ্যমেই মানুষ জানতে পারে।

আমরা সব সময় রেলকে মিডিয়ার সঙ্গে নিতে চাই। নতুন সচিব আসার পরে আমাকে বলেছেন যে আমাদের এখানে যে মিডিয়া সেল আছে সেটা অত্যন্ত দুর্বল।

রেলকে আরো বেশি প্রচারে নিতে হবে এবং আমরা চিন্তা করছি এ বিষয়ে কোনো একটা অরগানাইজেশনকে দায়িত্ব দেব কি না।

যার দ্বারা রেলের সঙ্গে মিডিয়ার সম্পর্ক রাখবে প্রচারের ক্ষেত্রে।

রেলমন্ত্রী বলেন, টিকিট কালোবাজারি সংক্রান্ত অভিযোগ আমি মন্ত্রী হবার পর থেকেই শুনছি। এ থেকে রেল মুক্ত হতে পারেনি।

এজন্য আমরা অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ২০০৭ সাল থেকে আমাদের টিকিটের বিষয়ে যারা সার্ভিস দিচ্ছিল (সিএনএস-বিডি) তাদের পরিবর্তে নতুন এক প্রতিষ্ঠানকে (সহজডটকম) দায়িত্ব দিয়েছি।

মাত্র দুই-তিন মাস হয়েছে, আমরা অপেক্ষা করতে চাই, দেখি তার সার্ভিসটা কতটুকু আমরা পাই।

এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, অভিযোগগুলো আমরা সম্পূর্ণ মেনে নিচ্ছি। তবে এগুলো সমাধানের জন্য আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি কথা বলছি।

ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যা থাকবে না।

মন্তব্য

Beta version