নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভরা মৌসুমে অভ্যান্তরিন বাজারে প্রধান ভোগ্যপণ্য চালের মূল্য বৃদ্ধির কারণ জানতে মাঠে নেমেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের কয়েকটি সংস্থা। বুধবার নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রাজধানীর কয়েকটি বাজারে তদারকিতে যায় সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া অবৈধভাবে চালের মজুতদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেশের সব জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে রাজধানীর বাজারগুলোতে অভিযান আতঙ্কে ভূগছে ব্যবসায়ীরা। ফলে তদারকি কমিটর আসার খবর পেয়ে দোকান ফেলে পালাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমিতির অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছে পরিদর্শনে যাওয়া কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, আজ (বুধবার ১ জুন) কারওয়ান বাজারে চালের আড়তে পর্যবেক্ষনে যায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মর্জিনা আক্তার নেতৃত্বে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আভিযানিক টিম। ওই খবর পেয়ে চাল ব্যবসায়ীদের অনেকে দোকানপাট ফেলে পালিয়েছেন। এসময় কারওরান বাজারে বিভিন্ন চালের আড়তে ব্যবসায়ীদের লাইসেন্সে গরমিল পাওয়া গেছে। গরমিল রয়েছে চালের মজুতেও।
মর্জিনা আক্তার জানান, যে দোকানে যাচ্ছি, কোনোটারই লাইসেন্স ঠিক পাওয়া যাচ্ছে না। চালের মজুতের হিসেবেও গরমিল রয়েছে। আমরা অভিযান শুরুর পর অনেক ব্যবসায়ী দোকান ফেলে চলে গেছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযান চলছে। তবে চালের বাজারে অস্থিরতার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো নির্ধারণ করতে পারেনি খাদ্য মন্ত্রণালয়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বড় বড় মালিকরা মজুত করছেন। তবে সেই বড় বড় মজুতদার মালিক কারা তা খুঁজে বের করতে ঊর্ধ্বতনদের জানানো হবে বলে জানান মর্জিনা আক্তার।
তিনি জানান, চাল ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স আছে কি না, অনুমোদনের চেয়ে বেশি চাল মজুত আছে কি না, ফুড গ্রেইন লাইসেন্স যাচাই, খাদ্যশস্যের কেনা-বেচার রশিদ, মিল গেটে কী মূল্যে চাল বিক্রি হচ্ছে, খুচরা-পাইকারি বিক্রেতার ক্যাশমেমো, খুচরা মূল্যতালিকা প্রদর্শন- এসব বিষয় যাচাই করা হয়।
অভিযানে আড়ত মালিকেরা কোনো ধরনের সহযোগিতা করছে না অভিযোগ করে মর্জিনা আক্তার বলেন, আমরা অভিযান শুরুর পর অনেক ব্যবসায়ী দোকান ফেলে পালিয়ে গেছে। এসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পরবর্তীসময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একইদিন রাজধানীর মিরপুরে শাহ আলী মার্কেটের পাইকারি চালের আড়তে অভিযান শুরু করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময় তাইয়্যেবা রাইস এজেন্সিতে চালের দাম বেশি এবং অন্যান্য অসাঞ্জস্য তথ্য পাওয়ায় দোকান মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ঢাকা/জেএইচ
মন্তব্য