বন্যায় ৬৮ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছে সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলায়।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সী অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের ১৭ মে থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা থেকে তার আগের ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয় ২৪ জনের। এই ২৪ জনের মধ্যে একজন ডায়রিয়ায়, দুইজন বজ্রপাতে, ২০ জন পানিতে ডুবে এবং একজনের অন্য কোনো ভাবে মৃত্যু হয়েছে।
তিনি জানান, ৬৮ জনের মধ্যে ডায়রিয়ায় একজন, ১৪ জন বজ্রপাতে, সাপের দংশনে একজন, পানিতে ডুবে ৪৫ জন ও অন্যভাবে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২১ জুন) থেকে বন্যায় আহত-নিহতদের তথ্য দেওয়া শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন তারা ৩৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। একদিনের ব্যবধানে ৬৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত কন্ট্রোলরুম।
মঙ্গলবার পর্যন্ত সিলেট বিভাগে ১৮ জন, রংপুরে তিনজন এবং ময়মনসিংহে ১৫ জনের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিলেট বিভাগে ৪৬ জন, রংপুরে চারজন এবং ময়মনসিংহে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। দুই দিনে দুই বিভাগে মৃত্যুর হয়েছে চারজনের। আর বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা থেকে তার আগের ২৪ ঘন্টায় সিলেট বিভাগে ২৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে কন্ট্রোলরুম।
এ পর্যন্ত সিলেট বিভাগে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে সুনামগঞ্জে; ২৬ জনের। মঙ্গলবার পর্যন্ত সুনামগঞ্জে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিলো। বৃহস্পতিবার আরো ২১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ডায়রিয়ায় একজন, বজ্রপাতে দুইজন, পানিতে ডুবে ১৭ জন ও অন্য কোনো ভাবে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া এ পর্যন্ত সিলেটে ১৬ জন, হবিগঞ্জে একজন ও মৌলভীবাজারে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত সিলেট জেলায় ১০ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে ১৬ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
ময়মনসিংহ বিভাগে মৃত্যু বেড়েছে তিনজনের। ১৫ জন থেকে বেড়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে। পাঁচজন ময়মনসিংহ জেলায়, নেত্রকোনায় পাঁচজন, জামালপুর পাঁচজন ও শেরপুরে তিনজন মারা গেছেন। এই বিভাগে মৃত্যু বেড়েছে দুই জেলায়। জামালপুরে ও নেত্রকোনায়। জামালপুরে দুই জন। নেত্রকোনোয় একজন।
রংপুর বিভাগে একজনের মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারজনের। একজন লালমনিরহাটে এবং তিনজন কুড়িগ্রামে মারা গেছেন।
দুর্গত এলাকায় ২০০৬ টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। এ পর্যন্ত ২ হাজার ৮৯৫ জন ডায়রিয়ার আক্রান্ত হয়েছেন। সাপের দংশনের শিকার হয়েছেন চারজন। চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৫ জন। চোখের প্রদাহ দেখো দিয়েছে ৬৭৪ জনের। আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন ৬৪ জন। অন্য ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪০ জন।
মন্তব্য